মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় সঙ্গবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এবং এক ব্যাক্তি লালশার শিকার দীর্ঘদিন যাবত এক গৃহবধূ । ভূক্তভোগীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর দেওয়া তথ্য সুত্রে জানা যায় , গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের মীরেরগাও গ্রামে গত প্রায় আট বছর আগে তার বিয়ে হয়, তার স্বামী স্থানীয় একটি কারখানার শ্রমিক। গত দেড় বছর আগে নতুন বসতঘরে বৈদ্যুতিক তার ওয়ারিং করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইলেকট্রিশিয়ান রফিকের সাথে পরিচয় হয় তার। ঘর ওয়ারিং এর কাজ শেষ করার পর রফিক তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতো সে সুবাদে তার সাথে একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনাচক্রে একদিন তার বাড়ি ফাঁকা থাকার সুবাদে রফিক কৌশলে তাকে কোমল পানীয়ের সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণ করে এবং ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করে রফিক। ইদানিং কালে এই ভিডিওর ভয় দেখিয়ে গত কয়েক মাস আগে রফিক ও তার ৫/৬জন বন্ধু মিলে ওই গৃহবধূকে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় নিয়ে ধর্ষণ করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি তখন কাউকে না জানালেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নেন।
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। তবে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।