আকাশ সরকার,রাজশাহী ব্যুরোঃ
কদিন হতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেপার বিক্রেতা খুকির ভিডিওটি সবার দৃষ্টি কাড়ছিলো। তবে বাদ যায়নি পবা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীনের।
তার মানবতার জীবন যাপন ও কষ্টে থাকার গল্প নিয়ে ভিডিও ভাইরাল হলে সহানুভূতির মনোভাব স্থাপন করেন এই সরকারি কর্মকর্তা। নিজ পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন , অল্প বয়সে বিধবা হওয়া ও সামান্য মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়াতে লোকের অবহেলার বিষয়গুলো ফুটে উঠে এসব ভিডিও এবং গণমাধ্যমে। পেপার বিক্রেতা খুকি কোন সময় কারো কাছে হাত পাতেন না। তিনি নিজেই কর্ম করে নিজের জীবন যাপন করেন।
এই সব দেখে পবা উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীনের মনে নাড়া দিলে,নিজেই খুকির বাড়ী গিয়ে খোঁজ খবর ও দেখে আসেন।
সেখানে গিয়ে খুকির সাথে কথা বলে জানতে পারেন, তার নিজস্ব বাড়ি আছে, পৈত্রিক ভাবে তারা স্বচ্ছল ছিলেন কিন্তু কিছুটা স্মৃতিভ্রস্ট হওয়ায় তার নিজের ভাই বোনও তাকে দেখেনা। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। সকালে বের হয়ে যান পত্রিকা বিক্রি করতে। এরপর সে উপার্জিত টাকায় হোটেলে খান, কয়েক জনকে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল করার জন্য কয়েক জন দরিদ্র হিন্দু নারীকে গাভী ও সেলাই মেশিন কিনে দেওয়াসহ বেশ কিছু নারীকে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল করেছেন।
এসব জেনে সরকারি ওই কর্মকর্তা তার সাথে কথা বলে মুগ্ধ হন এবং বুঝতে পারেন অনেক সময় মানুষ পাগল ভেবে মারধর করে। মাঝে মাঝে খেতে পান না। তাকে দেখা শোনা করার কেউ নেই। এভাবেই চলছে খুকীর জীবন। এসব বুঝে , খুকীর দেখা শোনা করার একজন মানুষ প্রয়োজন। তিনি খুকীর মাসিক খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। পাশাপাশি তার দেখা শোনা করার জন্য একজন মেয়েকে দায়িত্ব দিয়ে আসেন।
এই প্রসঙ্গে পবা উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমের খুকির বিষয়টি আমার হৃদয়ে নাড়া দেয়। আমি খুকির সামান্য চেষ্টা করেছি মাত্র । খুকি আমাকে একটি কথা জানিয়েছে তার মৃত্যুর পর যেনো তার দাফন কুষ্ঠিয়াতে হয়। তার নাকি জন্মস্থান কুষ্ঠিয়া। আমি আমার জায়গা হতে তার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাটি করবো বলে জানান।