সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ
এক সময় ব্যাপক সমস্যা কবলিত ছিল ছাগলনাইয়া পৌরসভা। স্বাধীনতা পরবর্তী চেয়ারম্যান ও মেয়র আসে, মেয়র যায়, কিন্তু পৌরবাসীর ভাগ্যের তেমন উন্নয়ন হয়নি। নাগরিক সুবিধা আদায়ে নানা দাবি উঠে তখন, ছোট খাটো উন্নয়ন কিছু হয়নি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো মাটি চাপাই থাকে। এরই মধ্যে ১০ই জুলাই ২০১৬ সালে ছাগলনাইয়া পৌরসভার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক, ছাগলনাইয়া পৌর আ’লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা। পৌরসভার নাগরিকদের সেবায় নিরবে-নিভৃতে শুরু করে নানা কর্মযজ্ঞ। আধুনিক পৌরসভা গঠনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে মেয়র এম. মোস্তফা। সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নাগরিকদের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন। নাজুক ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শহরের প্রধান সড়কে এলইডি বাতি স্থাপনের উদ্যোগ, পৌরসভা সংলগ্ন জিরোপয়েন্টে দৃষ্টিনন্দন আল্লাহু ভাস্কর্য স্থাপনা করা হয়েছে। পৌরসভা কার্যালয়ের মূল চত্বরও সৌন্দর্যবর্ধন করা হয়েছে।
এই মেয়রের কর্মযজ্ঞ এখানেই শেষ নয়। মেয়র বলেন, ফেনী ২ আসনের সাংসদ ও জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক জননেতা নিজাম উদ্দিন হাজারী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম’র দিক নির্দেশনায় অনুযায়ী পৌর শহরের অলিগলির রাস্তা থেকে শুরু করে বড় বাজেটের বেশ কয়েকটি রাস্তা সংস্কার ও নির্মাণ করা হয়েছে। এই উন্নয়ন আগামীতেও চলমান থাকবে বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতদিন কর্মহীন মানুষের ঘরে ঘরে ছুটেছেন। সঙ্কটময় সময়ে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের অলিগলিতে রাতদিন জনগণের পাশে থেকে খাদ্য ও সচেতনতা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন অনবরত। জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটিয়ে দিয়েছেেন বাজারের অলিগলিতে। তার এসব কাজে জনগণ থেকে প্রসংশিত হয়ে আখ্যা পাচ্ছেন মানবিক মেয়র হিসেবে। ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার যাত্রা শুরু ২০০২ সালে। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত পৌরসভার আয়তন ২৮ বর্গকিলোমিটার। পৌর মেয়র মোঃ মোস্তফার যোগ্য নেতৃত্বে ২০১৯ সালের মে মাসে পৌরসভাটি ‘ক’ শ্রেণিতে উন্নীত হয়। বর্তমানে মেয়রের দায়িত্ব পালনের চার বছরে পৌর এলাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছেন। মেয়র বলেন, বিগত মেয়রদের সময়কালিন যা হয়নি তা চার বছরে করেছি। দলমত নির্বিশেষে সবাই এখন উন্নয়নের সুফল ভোগ করছেন। নির্বাচনের সময় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম তার প্রায় শতভাগ পূরণ করেছি। পৌরসভার মানন্নোয়ন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আমার এবং কাউন্সিলরদের আন্তরিকতার কমতি নেই। মানবিক কর্মকাণ্ডেও মেয়র মোঃ মোস্তফা উন্নয়নের বিপ্লব ঘটিয়ে যাচ্ছে। বিবেকমান মানুষ হিসেবে পৌরবাসীর সেবা করছেন বলে পৌরবাসিদের অভিমত।