সালে আহমেদ,ডেমরাঃ
ডেমরা ট্রাফিক জোনের উদ্যােগে গণপরিবহন ও জনসমাগম স্থলে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ওয়ারী বিভাগের ডেমরা জোনের ট্রাফিকের জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২২ অক্টোবর(বৃহস্পতিবার)সকাল ১১ টায় রাজধানীর মাতুয়াইলে গণপরিবহনের বিভিন্ন সেক্টরের চালক,হেলপার,সর্বসাধারন,পুলিশ, সাংবাদিক ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ট্রাফিক পুলিশের এ মহতী কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
ডেমরা ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মাবিয়ান মিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম (পিপিএম)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ারী ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোবিন্দ চন্দ্রনাথ।
এ সময় অারো ও উপস্থিত ছিলেন,ডেমরা ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. ইমরান হোসেন মোল্লা, যাত্রাবাড়ী ট্রাফিক জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রবিউল ইসলাম,দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক খোরশেদ অালম শিকদার,প্রতিদিনের খবরের নাজমুল হাসানসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপ-পুলিশ কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, নারী যাত্রীর হয়রানির চিত্র নতুন কিছু নয়। প্রতিদিনই দেশের কোনো না কোনো স্থানে গণপরিবহনে নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। গণপরিবহণে নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও হয়রানি বন্ধে নারীর প্রতি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর প্রতি জোর দেন তিনি।সরকার নারীর ক্ষমতায়ন,উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নারীর ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কর্মস্থলে যাতায়াতের পথে নারীরা বিভিন্নভাবে নির্যাতিত হচ্ছে এবং তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছে। এটা এখনই বন্ধ করতে হবে। এসময় তিনি বলেন, নারী নির্যাতন বিষয়ে আমাদের কোন গবেষণা বা জরিপ নেই তবে বর্তমানে গণমাধ্যম নারী নির্যাতনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরছে।এসময় তিনি নারীদের প্রতি সহনশীল হওয়ার জন্য চালক ও হেলপারদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
এসময় বক্তারা আরো ও বলেন,র, সাম্প্রতিক সময়ে গণপরিবহনে নারীর যৌন হয়রানির বিষয়টিও মিডিয়ায় রীতিমতো হুলস্থুল ফেলে দিয়েছে। গণপরিবহন আজ নারীদের জন্য বিষফেঁাড়া হয়ে উঠেছে। নারীরা এখন আর গৃহবন্দি নয়। নারীদের পথে-ঘাটে চলাফের করতে হয়। আর চলতে ফিরতে গেলেই বিপত্তি বাধে। গণপরিবহনে নিত্য নারীদের লাঞ্ছনা-গঞ্জনা সহ্য করতে হয়। তবে নগরায়নেই সমস্যাটা সবচেয়ে বেশি প্রকট। কেননা, মফস্বলের তুলনায় এখানকার জীবনযুদ্ধ অনেক বেশি বেগবান, অনেক বেশি সচেষ্ট। এ কারণে নারীকে সদা-সবর্দা বাহিরে চলাফেরা করতে হয়। বতর্মান বিশ্বে শিক্ষা ও কমের্ক্ষত্রে নারীর পদচারণা অনেক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে নারীদের প্রতি সহমমির্তা এবং সহযোগিতাও। তারপরও নগরীতে বসবাসরত কয়েক লাখ নারীকে প্রতিদিন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কমর্স্থলে যাওয়া ও আসার পথে পড়তে হয় নানাপ্রকার ভোগান্তিতে। যার অন্যতম একটি নগরায়নের গণপরিবহন।
জানা গেছে, গণপরিবহনে প্রতিনিয়তই নানাবিধ অসুবিধা ও হয়রানির শিকার হয়ে চলেছে নারী যাত্রীরা। সরকারি-বেসরকারি বাসগুলোতে তাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। এ ছাড়া ছোট ছোট যে গণপরিবহন রয়েছে তাতে চড়তেও নারীদের পড়তে হয় বাড়তি বিড়ম্বনাতে। বাসগুলোতে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নয়টির মতো সিট বরাদ্দ থাকে, যা কিনা প্রয়োজনের চেয়েও অপ্রতুল।