করোনাভাইরাস সংক্রমণে উচ্চ ঝুঁকি থাকায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২টি দেশে সাধারণ নাগরিকদের নতুন করে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এর আগে ভারত, রাশিয়া, ইরানসহ ৬০ দেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তালিকায় বাংলাদেশ ছিল না। সোমবার (১৯ অক্টোবর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিশেষ আদেশে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, করোনা মহামারি এখনও শেষ হয়ে যায়নি। কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ শুরু হবে অচিরেই। সারা বিশ্বের অধিকাংশ দেশে ইতোমধ্যে করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণ শুরু হয়ে গেছে।
পূর্বে করা ৬০টি দেশের নাগরিকদের সঙ্গে নতুন আরও ২২টি দেশকে নিষেধাজ্ঞা তালিকা যুক্ত করে মোট ৮২টি দেশের সাধারণ নাগরিকদের উপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবত থাকবে।
তবে আফ্রিকা মহাদেশের কোনো দেশের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি তারা আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করতে পারবে।
যেসব দেশের সাধারণ নাগরিকদের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে- আলবেনিয়া, আর্জেন্টিনা, আর্মেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, বলিভিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, ইকুয়েডর, ফ্রান্স, জর্জিয়া, গ্রিস, গুয়াতেমালা, গিয়ানা, হন্ডুরাস।
এছাড়া হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ভারত, ইরান, ইরাক, আয়ারল্যান্ড, ইস্রায়েল, জামাইকা, জর্দান, কুয়েত, লেবানন, লাক্সেমবার্গ মালদ্বীপ, মাল্টা, মেক্সিকো, মোল্দাভিয়া, মন্টিনিগ্রো, নেপাল, নেদারল্যান্ডস, উত্তর ম্যাসেডোনিয়া, ওমান, প্যালেস্টাইন, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, পর্তুগাল, পুয়ের্তো রিকো, কাতার, রোমানিয়া, রাশিয়া, স্লোভাকিয়া, সুরিনাম, সুইজারল্যান্ড, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, আমেরিকা ও ভেনিজুয়েলা।
নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশগুলো হলো- আর্জেন্টিনা, জার্মানি, পেরু, বাংলাদেশ, ফিলিপিন্স, বেলজিয়াম, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিল, স্পেন, কানাডা, ইরাক, যুক্তরাজ্য, চিলি, ইতালি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, নেদারল্যান্ডস।
তবে এসব দেশ থেকে শুধুমাত্র কূটনীতিক, বিনিয়োগকারী এবং পেশাদার ক্রীড়াদল ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে যাওয়া গোষ্ঠীকে গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার পাসপোর্টধারী নাগরিকরা পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে আসা যাওয়া করতে পারবে।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারী করা নির্দেশে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসতে হবে। সবধরনের মিডিয়াম এবং লো রিস্কের দেশ থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ভ্রমণ করার সময় পিসির (পলিমারোজ চেইন প্রক্রিয়া) কোভিড-১৯ পরীক্ষার রিপোর্ট সাথে থাকতে হবে যা ভ্রমণকারী ভ্রমণের সময় থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকায় আসতে হবে।
উল্লেখ করা হয়েছে, ভ্রমণকারীকে অবশ্যই ট্রাভেল ইন্সুইরেন্স বা হোটেল বুকিং থাকতে হবে। কোনো ভ্রমণকারী এয়ারপোর্টে আসার পর আবার পুনরায় ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করা হবে। এ সময় কোনো যাত্রীর মধ্যে করোনার উপসর্গ পাওয়া গেলে তাকে নিজ খরচে দশ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।