জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে হাফেজ মো. কাউসারকে বহিষ্কার করা হলেও তা বৈধ নয় বলে জানিয়েছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. কাউছারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো সত্য নয়। সেই সঙ্গে চিঠিতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুসারে উপজেলা সাধারণ সম্পাদককে বহিষ্কারের ক্ষমতা জেলা কমিটি রাখে না।
আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দফতর থেকে পাঠানো এই চিঠিতে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়।
এর আগে গত ২৪ তারিখ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রদান করা হয় উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মো. কাউসারকে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থক ছিলেন তিনি। মনোনয়ন পাওয়ার পর নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি ফরিদপুর-৪ আসনের জনপ্রিয় ও তরুণ সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের সঙ্গে যোগ দেন।
যোগদান সম্পর্কিত অনুষ্ঠানের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘জনাব মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরী এমপির প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করে চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও চরভদ্রাসন উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা) প্রার্থী জনাব মো. কাউসারের যোগদান অনুষ্ঠান। প্রচারে চরভদ্রাসনে সর্বস্তরের জনগণ’।
অনুষ্ঠানের শুরুতে নৌকা প্রতীকের রেপ্লিকা ও ফুলের তোড়া এমপি নিক্সনের হাতে তুলে দিয়ে যোগদান করেন মো. কাউসার। একই সঙ্গে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে নিক্সনের সাথে যোগ দেন চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের সভাপতি মো. রুবেল মোল্লা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল মোল্লা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মৃধা। এ ঘটনার পর সরাসরি আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীর বিরুদ্ধে কাজী জাফরউল্ল্যাহর সমর্থনে ষড়যন্ত্র শুরু হয় বলে অভিযোগ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৩ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মুসার মৃত্যুর কারণে উপজেলার চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়ে যায়। গত ২৯ মার্চ এ উপ-নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।