ময়মনসিংহের ত্রিশালে গন্ডখোলা গ্রামের বাসিন্দা হত দরিদ্র পরিবারের ছয় বছর বয়সী অসহায় শিশু সালমান । ৪ বছর আগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে এক দুরারোগ্য পচন ব্যাধিতে । দারিদ্রতার কারনে তার যথাযথ চিকিৎসা করাতে ব্যর্থ হয় তার পরিবার । দুই সপ্তাহ আগে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে সালমানের অসহায়ত্বের সংবাদটি পান বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেকের সভাপতি ও দৈনিক আমাদের কন্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি খায়রুল আলম রফিক । তৎপরবর্তীতে ইউএনওর পরামর্শে খায়রুল আলম রফিক শিশুটিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করান । সেখানকার ডাক্তারদের সফল অপারেশন ও সুষ্ঠু চিকিৎসায় শিশুটি এখন ভাল আছে । ইতিপূর্বে খায়রুল আলম রফিক শিশুটির দুরাবস্থাকালে শিশুটিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ ও গণ মাধ্যমে লাইফ ও সচিত্র সংবাদ প্রকাশ করেন । সংবাদগুলো দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ত্রিশালের মেয়র আনিছুজ্জামান আনিছ, আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নবী নেওয়াজ সরকার, ত্রিশালের সাকুয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ডাক্তার আব্দুল আজিজ, ত্রিশাল রিপোর্টর্স ক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক কামাল হোসেন, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা সংস্থা ডিবির ওসি কামাল আকন্দসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ শিশুটির চিকিৎসায় আর্থিক ও অন্যান্য সহযোগীতায় এগিয়ে আসেন । শিশুটির বাবা সজল জানান, দীর্ঘসময় ধরে ছেলের দুরারোগ্য ব্যাধী নিয়ে চিন্তিত ছিলাম । অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারিনি । সাংবাদিক রফিক সাহেবের বদৌলতে আমার ছেলে আজ সুস্থ হচ্ছে । এটি আমার অনেক বড় পাওয়া । সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক জানান, নৈতিক দায়িত্ববোধ ও মানবিকতার বিবেচনায় শিশুটির সুচিকিৎসা করাতে পারছি এটিই আমার বড় পাওয়া । আগামীতে শিশুটির পরিবারের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার ইচ্ছা আছে আমার । এক্ষেত্রে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি ।