রোববার (৪ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ১০.৩০ মিঃ সময় লালমনিরহাট সদর বড়বাড়ি ইউনিয়নের নারকেলবাড়ি নামক এলাকায় দুষ্কৃতকারী কর্তৃক এক অটো চালক কে গলায় ছুরিকাঘাত করে অটো ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। আহত অটোচালক রাজারহাট সদর এলাকার আব্দুল লতিফ কে সংকটাপন্ন অবস্থায় কুড়িগ্রাম সরকারী হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনার সংবাদপ্রাপ্ত হয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকারের নির্দেশনায় থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ঘটনাস্থল লালমনিরহাট সদর থানার অন্তুর্ভুক্ত হওয়ায় ওসি রাজারহাট, পুলিশ সুপার কুড়িগ্রাম মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম’র নির্দেশনায় ওসি লালমনিরহাট কে অবহিত করেন। রাজারহাট থানা পুলিশ রাত ২ টার সময় ছিনাইয়ের চওড়া বাজার এলাকা থেকে ছিনতাইকারী সাইফুল (২২) কে ছিনতাইয়ের অভিযুক্ত হিসেবে আটক করে।
রাজারহাট থানা পুলিশের হাতে আটক ছিনতাইকারী সাইফুল রাজারহাট উপজেলার হরিশ্বর তালুক গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র ।
অতঃপর লালমনিরহাট সদর থানা কে আসামী আটকের বিষয়টি জানালে লালমনিরহাট থানার এস আই আসাদ তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ রাজারহাটের চওড়া বাজারে এসে ছিনতাইকারী সাইফুলকে লালমনিরহাট থানায় নিয়ে যান। লালমনিরহাট থানার এস আই আসাদ ঘটনার সত্যতা স্মীকার করে আসামী সাইফুল কে লালমনিরহাট থানায় নেয়ার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন।
আহত আঃ লতিফ সরকারের পারিবারীক সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট থানা রাজারহাট থানার মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে। মামলা রুজু ও আটক আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন প্রক্রিয়াধীন।
অপরাপর ছিনতাইকারী হাফিজুল ইসলাম(২২) ও সুজন( ২১) পলাতক রয়েছে। বাকি আসামী আটক ও মামলার তদন্তে লালমনিরহাট থানাকে সহযোগিতা করা হবে ।
ঘটনার বিবরন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছিনতাইয়ের স্থানটি কুড়িগ্রাম – লালমনিরহাট সীমানা রাস্তা ও সেলিম নগড় বাজারের উত্তরদিকে হলেও ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট থানার অন্তর্ভূক্ত এলাকায়। রাজারহাট সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শহিদুল ইসলাম জানান,ছিনতাইয়ের কবলে পড়া অটোচালক আঃ লতিফ তার পরিচিত।
শফিকুল ইসলাম খবর পেয়ে হাসপাতালে নেয়ার সময় সাথে যান এবং আহত অটোচালকের সাথে কথা বলে দুষ্কৃতিকারীদের পরিচয় সনাক্ত সহ আইনগত সহযোগিতা চেয়ে তিনি রাজারহাট থানা পুলিশ কে ফোন করেন।