সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত দিলাওয়ার হোসেন ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সিলেট নগরের শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার চার নম্বর রোডের দুই নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। একই বাসার দোতলায় ধর্ষণের শিকার নারী ও নিচতলায় অভিযুক্ত দিলাওয়ার পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শামীমাবাদ এলাকার চার নম্বর রোডের দুই নম্বর বাসায় স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করেন এক গৃহবধূ।
শনিবার সন্ধ্যায় বাসার নিচতলার ভাড়াটে দিলাওয়ার হোসেন (৩৮) তার দুই সহযোগী হারুন মিয়া ওরফে চাক্কু হারুন (৩৫) ও জামাল মিয়া ওরফে বাইড্ডা জামালকে (৩৪) নিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।
সোমবার (০৫ অক্টোবর) দুপুরে ওই গৃহবধূকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে।
ধর্ষণের ঘটনার খবর পেয়ে রোববার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে দিলাওয়ার হোসেন ও হারুন মিয়া ওরফে চাক্কু হারুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বাদী হয়ে সোমবার সকালে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন গৃহবধূ।
গ্রেফতারকৃত দিলাওয়ার শামীমাবাদ আবাসিক এলাকার চার নম্বর রোডের দুই নম্বর বাসার বাসিন্দা। তিনি সিলেট সদর উপজেলার পাইকেরগাঁওয়ের লাল মিয়ার ছেলে।
হারুন নগরের তালতলা এলাকায় পার্কভিউ মেডিকেলের পেছনের একটি কলোনিতে ভাড়া থাকেন। ওসমানীনগর উপজেলার কুড়ুয়ার রাগবপুর গ্রামের মৃত শাহেদ মিয়ার ছেলে তিনি। সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাদের দুজনকে মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।