পিএম সাজ্জাদ শরীফ(স্টাফ রিপোর্টার)
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার ১নং গুলিশাখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ও ৯ নং ওয়ার্ডের শেষ প্রান্তে গড়ে ওঠা লোহার সেতুটি একাংশ ভেঙে নদীর বুকে আঁচড়ে পড়ে আছে, পারাপারে ব্যাহত হচ্ছে লক্ষাধিক সর্ব সাধারন মানুষের।
স্থানীয় লোকজন লোহার সেতুটি উপরে গাছ দিয়ে পারাপার হচ্ছে সেতুটির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত যাওয়ার লোকজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লোহার সেতুটি বিগত দুই বছর যাবৎ আংশিকভাবে কিছু অংশ ভেঙে ছিল, আম্ফানের তীব্র স্রোত এর ফলে একাংশ ভেঙে নদীর বুকে আছড়ে পড়েছে, বর্তমানে এলাকাবাসী সেতুটি উপরে গাছ দিয়ে পারাপার হচ্ছে ভোগান্তিতে আছে লক্ষাধিক মানুষ। দ্রুত সেতুটির মেরামতের দাবী এলাকাবাসীর।
এই একটি সেতু দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে কয়েকটি স্কুল-মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ, উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তর কালামপুর হাতেমিয়া দাখিল মাদ্রাসা, কালামপুর নুরানী বালিকা দাখিল মাদ্রাসা,১১ নং উত্তর-পূর্ব কলাগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মরিচবুনিয়া সালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ৯১ নং মরিচবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খাসিয়া ডিজিটাল স্কুল এন্ড কলেজ, মরিচবুনিয়া পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউট প্রমুখ। বরগুনার মানুষজন পটুয়াখালী জেলা শহরে যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে সেতুটি।
মোঃ তৈয়বুর রহমান প্যাদা বলেন, এই একটি লোহার সেতুটি দিয়ে দুই জেলার লোকের যাতায়াত,পটুয়াখালীর জেলা ও বরগুনা জেলার দুই জেলার মানুষই এই সেতুটি দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছে, তাই অতি শীঘ্রই সেতুটির সংস্কারের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
দ্বিতীয় শ্রেণি ছাত্র রাজিব, তামিম, জাবের আমাদের জানান, সেতুটি ভেঙে থাকার কারণে আমরা মক্তবে যেতে পারি না, কিছুদিন পরে স্কুল খুললে আমরা কিভাবে স্কুলে যাব সেতুটি তো ভাঙ্গা। সেদিন আমার পারাপার হতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছিলাম।
ডাঃসুকুমার চন্দ্র শীল বলেছেন, ২ থেকে ৩ দিন আগে সাইদুর রহমান প্যাদা সেতুটি পার হতে গিয়ে স্লিপ কেটে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন এছাড়াও বেশ কিছুদিন আগে জসিম উদ্দিন ফকির সেতুটি থেকে পড়ে গিয়ে কয়েকটি স্থানে তার জখম হয়, তাই আমাদের এলাকাবাসীর দাবি অতিশীঘ্রই যেন লোহার সেতুটি মেরামত কিংবা সংস্কার করা হয়।
দুঃখ ভরা মন নিয়ে ছাত্তার প্যাদা বলেন, মুই ওদিকে যাইনা, ক্যা না আবার মুই পইররা যাই হেই ডরে, বিরিজ না হইলে মুই উম্মে জামুনা।
১ নং গুলিশাখালী ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ইতিমধ্যে সেতুটি নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হয়েছে, করোনার কারণে কাজটি পিছিয়ে পড়েছে।