নিউজ ডেস্ক : যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী
শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশে উভয় পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। রায়ে তারা খালাস পাবে।
ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।
আদালত এ মামলায় চার্জশিটের ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মঙ্গলবারসহ ছয় কার্যদিবসে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর আগে গত ২৩ আগস্ট মামলাটিতে আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠন করেন।
এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর চীফ প্রসিকিউপর আব্দুল্লাহ আবু যুক্তি উপস্থাপনের শেষে আসামিদের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেন। ওইদিন পাপিয়ার স্বামী সুমনের পক্ষে আইনজীবী এবিএম গোলাম ফাত্তা যুক্তি উপন্থাপন করে খালাস দাবি করে
তার আগে গত ২৯ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মো. আরিফুজ্জামান এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুজন সঙ্গীসহ পাপিয়া এবং তার স্বামীকে আটক করে র্যাব-১। ওই সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ হয়।
পরে পাপিয়ার ফার্মগেটের বাসার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।
ওই ঘটনায় মাদক, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে শেরেবাংলা নগর ও বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাগুলোয় দুই দফায় তাদের ৩০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান্ড শেষে তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।