রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার: সীমিত পরিসরে আদালত বসতে পারে বাংলাদেশে চকরিয়ার বদরখালীতে কৃষকলীগ নেতার উপর নজরুল বাহিনীর হামলা কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূল থেকে একদিনে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দিনের বিভিন্ন সময়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। মরদেহগুলো সাগরের জলে ভেসে কূলে ভিড়েছে বলে জানিয়েছেন মহেশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস।
অন্যরা হলেন- মহেশখালী পৌরসভার বলরামপাড়ার মনমোহনের স্ত্রী আলো রানী ও কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর ছনখোলার মৃত নুরুল আমিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন। অপরজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চার মরদেহের মধ্যে গত ২০ সেপ্টেম্বর নৌপথে মহেশখালী ফেরার পথে নৌকা থেকে পড়ে নিখোঁজ তোফায়েল মাহমুদও (২২) রয়েছেন। তিনি ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের সিপাহিরপাড়া গ্রামের নাগু মিয়ার ছেলে ও চট্টগ্রাম কলেজের অনার্সের ছাত্র।
মহেশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস জানান, গত ২০ সেপ্টেম্বর বাঁকখালী মোহনায় ফিশিংবোটের ধাক্কায় ঘামবোট থেকে পড়ে নিখোঁজ হন তোফায়েল মাহমুদ। তার মরদেহ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সোনাদিয়ার মগচর থেকে উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহ বিবর্ণ এবং হাতের আঙুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মরদেহটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে গোরকঘাটা চরপাড়ার খেয়াবাগান থেকে দেলোয়ার হোসেন নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে মরদেহটি উদ্ধার করা হলেও পরে তার পরিচয় শনাক্ত হয়। সে কক্সবাজার সদরের পিএমখালী এলাকায় গত দুদিন আগে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে তার স্বজনরা এলে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার গোরকঘাটা বাবুদীঘিতে গোসল করতে নেমে ডুবে যান আলো রানী নামে এক নারী। তিনি অসুস্থ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, অসুস্থতার কারণে গোসল করতে নেমে তিনি মারা যান।
এদিকে একই দিন মহেশখালীর ছোট মহেশখালীর মুদিরছড়ার প্যারাবন থেকে ৪০-৪২ বছরের অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরনে হাফ প্যান্ট ও ফুলহাতা একটি গেঞ্জি ছিল। মরদেহটি কোনো জেলের হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ওসি দিদারুল ফেরদৌস বলেন, পরিচয় পাওয়া তিনজনের মরদেহ যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে অপর মরদেহটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আজকালের মধ্যে কেউ খোঁজ করতে না এলে বেওয়ারিশ হিসেবে মরদেহ দাফন করতে কক্সবাজার পৌরসভার মাধ্যমে আঞ্জুমানে ইত্তেহাদে হস্তান্তর করা হবে।