কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।
ভৈরবে অটোরিকশা ছিনতাই করে অটোচালক মোঃ সোহেল খন্দকার (৩৫) কে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
২৩ শে সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার দুপুরে ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের রাস্তার পাশ থেকে নিহত সোহেল খন্দকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অটোচালক মোঃ সোহেল খন্দকার (৩৫)
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের ডুমরাকান্দা গ্রামের মোঃ হান্নান খন্দকারের ছেলে।
মহাসড়কের পাশে মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে সকালে থানায় খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। পরে দুপুর ১২টার দিকে ভৈরব থানার ওসি মো. শাহিন ও ওসি (তদন্ত) মো. রাশেদের নেতৃত্বে পুলিশ এসে প্রাথমিক সূরৎহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে আসেন।
ওসি শাহিন জানান, প্রাথমিক সূরৎহাল রিপোর্টে নিহত ব্যক্তিকে ঘাড় মটকিয়ে ভেঙ্গে ফেলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
নিহত অটোচালক সোহেল খন্দকারের চাচা মজলিশ খন্দকার পরে সকালে লোক মারফত একটি লাশ পড়ে আছে শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এবং লাশটি তার ভাতিজা সোহেল খন্দকারের বলে সনাক্ত করেন।
নিহত অটোচালক সোহেল খন্দকারের চাচা মজলিশ খন্দকার জানান, সোহেল গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে খাবার খেয়ে অটোরিক্সাটি নিয়ে বের হয়। রাত ৮টার দিকে সর্বশেষ তার সাথে পরিবারের যোগাযোগ হয় মোবাইল ফোনে।
রাতে মোবাইল ফোন বন্ধ এবং বাড়ি না ফেরায় তারা চিন্তায় পড়ে যান এবং বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে সন্ধানে ব্যর্থ হন। পরে সকালে লোক মারফত একটি লাশ পড়ে আছে শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন এই লাশটা তার ভাতিজা সোহেলের।
তিনি আরও জানান, তার ভাতিজা সোহেল খন্দকার বিবাহিত ছিলেন। তার দুটি পুত্র ও দুটি কন্যা সন্তান আছে। তিনি তার ভাতিজা হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তির দাবি করেন।
নিহত সোহেল খন্দকার হত্যা কারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।