মোঃ আলী হাসান:
পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ তৃষ্ণার্থ পথিক, কৃষক সহ সবার জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেছে এলাকার যুবকেরা। জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার সীমান্তের কোলঘেঁষে কয়েক হাজার একর জমির বিশাল শালুয়ার মাঠ। মাঠের মাঝ দিয়ে পূর্ব-পশ্চিম ২টি রাস্তাসহ অনেকগুলো শাখা-প্রশাখা ছোট ছোট মাঠ থেকে চারপাশের গ্রামে যাওয়া-আসার রাস্তা আছে। এসব রাস্তার পাশে ও মাঠের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে টিউবয়েল। পথিক ও মাঠে কাজ করা কৃষকদের পানির জন্য এসব যুবকেরা নিজ খরচে ১৪টি টিউবয়েল স্থাপন করেন। পানি পানের জন্য প্রত্যেক টিউবয়েলে রাখা আছে প্লাস্টিকের ছোট একটি মগ। গ্রামাঞ্চলের লোকজনেরা সাধারনত বাড়ির জিনিসপত্র গরু ছাগল চোর যেন চুরি করতে না পারে এজন্য পালাক্রমে তাঁরা গ্রাম পাহাড়া দেয়। কিন্ত গভীর রাতে বিশাল এ মাঠে কেউ থাকেনা বললেই চলে এবং রাস্তা দিয়েও তেমন কেউ চলাচল করেনা। এক্ষেত্রে অতি সহজেই মাঠের টিউবয়েল গুলো চোরেরা চুরি করতে পারলেও দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও একটা নাটও আজ পর্যন্ত চুরি হয়নি। চোর শোনে না ধর্মের কাহিনী এমন প্রবাদ বাক্য যেন মিথ্যা।
মাঠের পূর্ব পাশের রতনপুর গ্রামের মামুনুর রশিদ ও মনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রামের আমরা যুবক ছেলেরা কেউ পঞ্চাশ কেউ বা একশ টাকা দিয়ে আমরা মাঠে ও রাস্তার পাশে প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ করে একটা টিউবয়েল বসায়েছি। আমাদের দেখে রায়পুর ও পূর্ব ধরঞ্জী এলাকার যুবকেরাও বেশ কয়টি টিউবয়েল স্থাপন করেন। মাঠের পশ্চিম পাশের ভারত সীমান্তের সঙ্গে লাগানো শালুয়া গ্রামের সনাতন (হিন্দু) ধর্মের যুবকেরাও নিজ উদ্দোগ্যে অ্যনদের তারাও কয়েকটি টিউবয়েল স্থাপন করেন।
সরেজমিনে দেখাযায়, রতনপুর গ্রামের বুলু নামের একজন কৃষক কয়েকটা খালি বোতল ও বালতি টিউবয়েল চাঁপিয়ে ভর্তি করছে। এত পানি কি করবেন জানতে চাইলে তিঁনি বলেন, আমরা ৯ জন কামলা ধানের জমির ঘাঁস পরিস্কার করছি। জমির মালিক আমাদের জন্য বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে এলেও পানি নিয়ে আসেনি। আমরা এখন খাওয়া-দাওয়া করব এজন্য বোতল ও বালতি ভরে পানি নিচ্ছি এসব কথা বলেন, কৃষক বুলু।