শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত দাকোপের সাহেবের আবাদ শ্রীশ্রী কৃষ্ণের রাসমেলায় চতুর্থদিনে সাংকৃতিক সন্ধ্যা ঘোপাল যুবদলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ ঠাকুরগাঁওয়ে তিন জাতীয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুতিমূলক সভা ঠাকুরগাঁওয়ে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ইএসডিও’র আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ছাগলনাইয়ায় ৩০ কেজি গাঁজা উদ্ধার আটক ০১ রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। দেশ চালাবে জাতীয় ঐক্যের সরকার। সনাতনীদের অস্তিত্ব রক্ষার্থে সকলকে একত্রিত হতে হবে ছাগলনাইয়া সেচ্ছাসেবক দলের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

আন্তর্জাতিক আদালতে ১৫০ রোহিঙ্গাকে হত্যার কথা পাস করল ২ সেনা- দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৩০৯ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর কীভাবে বর্বর নির্যাতন ও গণহত্যা চালানো হয়েছে তা নিয়ে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মিয়ানমারের দুই সেনা সদস্য। প্রাইভেট পদাধিকারী ওই দুই সেনার নাম মিও উইন তুন (৩৩) ও জ নায়েং তুন (৩০)।

আইসিসিতে দেয়া সাক্ষ্যে ওই দুই সেনা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালিয়েছিল মিয়ানমার সেনাবাহিনী। সেসময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সৈনিকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ‘যত রোহিঙ্গাকে দেখবে, সবাইকে গুলি করবে’। এসময় দু’জনে একের পর এক গ্রাম ধ্বংস, হত্যা ও গণকবর দেয়ার বীভৎস বর্ণনা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গত মাসে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার পর ওই দুই সেনাকে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে নিয়ে যাওয়া হয়। এ শহরেই মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার চলছে।

এ সেনা বলেন, আমরা প্রায় ২০টি গ্রাম নিশ্চিহ্ন করেছিলাম। পরে শিশু ও বৃদ্ধদের মরদেহ একটি গণকবরে ফেলা হয়।

মিও উইন তুন জানিয়েছেন, তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশে অন্তত ৩০ জন রোহিঙ্গাকে হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন। সেসময় সেল টাওয়ার ও একটি সামরিক ঘাঁটির কাছে নিহতদের গণকবর দেয়া হয়েছিল।
প্রায় একই সময় পার্শ্ববর্তী আরেকটি এলাকায় একই ধরনের হত্যাযজ্ঞে অংশ নিয়েছিলেন জ নায়েং তুন। তার ওপরও নির্দেশ ছিল, শিশু থেকে বৃদ্ধ যাকেই দেখবে সবাইকে হত্যা করবে।

ভিডিও স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এই দুই সদস্য অন্তত ১৫০ রোহিঙ্গাকে হত্যা এবং কয়েক ডজন গ্রাম ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত। এসময় তারা ১৯ জনের নাম উল্লেখ করেছেন যারা সরাসরি এ ধরনের নৃশংসতায় অংশ নিয়েছেন। এছাড়া, সেনাবাহিনীর ছয়জন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ গণহত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন তারা।

মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ফরটিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে রোহিঙ্গা ও মিয়ানমারের জনগণের কাছে এটি একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। এই দু’জন আইসিসিতে উপস্থিত মিয়ানমারের প্রথম অপরাধী এবং আদালতের হেফাজতে থাকা প্রথম অভ্যন্তরীণ সাক্ষী হতে পারেন।

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর এ দুই সদস্যের বক্তব্যের সঙ্গে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের বর্ণনার বেশ মিল রয়েছে বলে জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। পার্থক্য শুধু, আগের বর্ণনাগুলো ছিল ভুক্তভোগীদের আর এবারের কথাগুলো বেরিয়েছে সরাসরি অপরাধীদের মুখ থেকেই।

আন্তর্জাতিক আদালতের নিয়মে অনুসারে সাক্ষীদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তার (উইটনেস প্রটেকশন) ব্যবস্থা করা হয়েছ।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!