রিপোর্ট, এস ডি স্বপন
ঢাকা-৫ (ডেমরা-যাত্রবাড়ী) আসনের উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। আর এদিকে এগিয়য়ে আছেন সাবেক তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা ঢাকা মহানগ দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
এলাকা বাসি যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০ এবং ৬০-৭০ মোট ১৪টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনের প্রবীণ সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে আসনটি শূন্য হয়। উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন ঢাকা মহানগ দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলে স্থানীয় অনেকের ধারণা। তারা বলছেন, দীর্ঘদিন দলের দু:সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, এছাড়াও মহামারী করোনায় নিজের জীবন বাজি রেখে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের মাঝে খাবার এবং ৬ হাজার মানুষের ঈদ উপহার ও ২০ হাজার মানুষকে ইফতার দিয়েছেন এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা ৫-আসনে এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত। উপনির্বাচনে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। সমাজসেবক হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি সুনাম অর্জন করেছেন। সফল রাজনীতিবিদ হিসেবেও পরিচিতি রয়েছে তার। এলাকাবাসীদের মনে করছে, কামরুল হাসান রিপন উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলে এলাকার উন্নয়নে অনেক অবদান রাখতে পারবেন এব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী হবে বলেও এলাকা বাসির দাবী।
আসনটিতে নৌকার মাঝি হতে চান এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক আলহাজ মো. হারুন-উর-রশীদ সিআইপি। তিনি আশা করছেন, কেন্দ্রের সংকেতও পাবেন। আসনের উপনির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন আরও তিন জন। তারা হলেন প্রয়াত সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল ও যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু। এছাড়া আরো আলোচনায় আছেন,নেহরীন মোস্তফা দিশি,
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে হাবিবুর রহমান মোল্লার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের বিকল্প প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন তালিকায় নাম ছিল মনিরুল ইসলাম মনুর।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, ঢাকা-৫ আসনে এই চার জনের বাহিরে, বাইরেও কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন। শেষ পর্যন্ত কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে সে সিদ্ধান্ত নেবে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর এবং নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হবে। পরবর্তীকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় চূড়ান্ত হবে কাকে দেওয়া হবে নৌকা প্রতীক। তবে একাবাসির প্রানের দাবী কারুল হাসান রিপনকে নিয়ে।
উপনির্বাচনে নৌকার মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা মহানগ দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ার কারণে জনগণের সঙ্গে তার সম্পর্ক হৃদয়ের। কামরুল হাসান রিপন বলেন,অসহায়, নির্যাতিত ও দুঃখী মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে তাই লড়তে চান, ইতিমধ্যে লড়াই করছি এখনো চলমান এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই । কামরুল হাসান রিপন আরো বলেন,কখনো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে পিছপা হইনি হবো না। তারই আদর্শে গণমানুষের সেবায় এবার নিজেকে উৎসর্গ করতে চান। তিনি বলেন, দলের দুঃসময়েও কখনো নিজেকে পেছনে রাখিনি আজও না, সব সময় সক্রিয় ছিলেন। তাই এবার তিনি আশা করছেন, কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেলে, ঢাকা-৫ আসনে তিনিই ওড়াবেন বিজয়ের পতাকা।
তৃণমূল নেতাকর্মীরাও রয়েছেন কামরুল হাসান রিপনের পাশে। তারাও এবার ঢাকা-৫ আসন থেকে চাইছেন ঢাকা মহানগ দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেকলীগের এই শীর্ষ নেতাকে। তারা বলেন, ছাত্রজীবন থেকেই রাজধানীর দনিয়াতে স্থায়ী আবাস গড়া কামরুল হাসান রিপন কখনো তাদের ভুলে যাননি। ওয়ার্ডে, গ্রামে, স্কুলে, মাদ্রাসায়, ঈদগাহে, বাড়ি বাড়ি তার পদচারণা। মিলাদ মাহফিল, জানাজা, সামাজিক অনুষ্ঠান, মসজিদ, মন্দিরেও তার সরব উপস্থিতি। যখনই মানুষ দুঃখ-দুর্দশার মধ্যে পড়েছে, তখনই কামরুল হাসান রিপন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ঐদিকে চাঁদপুরেও কারুল হাসান রিপনকে নিয়ে আলোচনা সহ তার সুনাম আছে, তিনি সাদামাটা মনের মানুষ। রিপন করোনা পরিস্থিতিতেও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাই স্থানীয়দের আশা, দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত এই নেতাকে এবার মূল্যায়ন করবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।