একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-০৫ (ডেমরা-যাত্রবাড়ী ও আংশিক কদমতলী) আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করেছে সংসদ সচিবালয়। তার মৃত্যুতে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এই আসনে।
তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও ঢাকা- ০৫ (সংসদীয়-১৭৮) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে দোঁড় ঝাপ করছেন প্রায় ডজন খানেক নেতা। ডেমরা যাত্রাবাড়ী ও আংশিক কদমতলী নিয়ে ঢাকা- ০৫ আসনটি। ঢাকা-০৫ এ রয়েছে মাতুয়াইল, ডেমরা, সারুলিয়া, রায়েরবাগ ও দনিয়া। ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষাধিক।
নির্বাচনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসাবে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব রয়েছে। ইতোমধ্যেই তারা অনেকেই যোগাযোগ করতে শুরু করেছে কেন্দ্রে। উপনির্বাচনের ভোটের দিন শেষ মুহূর্তের হিসাব-নিকাশ দেখেই মনস্থির করবেন সাধারণ ভোটাররা নেীকা মার্কার অপেক্ষায় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ও দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রার্থীর প্রচার-প্রচারণার অপেক্ষায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সবার মুখে একটায় উক্তি কে হচ্ছে কাংক্ষিত নৌকার মাঝি।
এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রাথমিকভাবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাবেক সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার ছোট ভাই কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল, যাত্রাবাড়ী থানা অাওয়ামী লীগের সভাপতি কাজি মনিরুল ইসলাম মনু, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাড. রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ, সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্যা’র ছেলে ও ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল, বাংলাদেশ আ,লীগের আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশি।
তবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আলোচনার দৌড়ে এগিয়ে বা শীর্ষে রয়েছেন, ঢাকা-০৫ উপনির্বাচনে অন্যতম প্রার্থী হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।নব্বই দশকে রাজনীতির উত্তান শুরু হয় কামরুল হাসানের। ১৯৯১-৯২ সালে তৎকালীন ঢাকা-০৫ এ হাবিবুর রহমান মোল্লার সাথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৯২ সালে দনিয়া কলেজের ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ২০০৩-২০১০ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, সভাপতি, একাউন্টটিং এলামনাই এসোসিয়েশন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।ওয়ান ইলেভেনের লড়াই সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে চার -পাঁচ বার জেল ও ১৮-১৯ টি মামলা খেতে হয়েছে।
বর্তমানে তিনি লক্ষাধিক স্বেচ্ছাসেবকের আইকন হিসেবে রাজনীতির অঙ্গনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কামরুল হাসান দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান, দলীয় মনোনয়ন পেলে ইনশাআল্লাহ বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঢাকা-০৫ আসনের ঐতিহ্য পূর্নরুদ্ধার করে আ,লীগের দূর্গ হিসেবে পরিনত করার জন্য নিরলস কাজ করে যাবো। সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লার অসমাপ্ত কাজগুলো শেষ করবো।
এলাকায় তার ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা রয়েছে। দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ডের কারণেও তিনি মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এ ছাড়া বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরতে নির্বাচনী এলাকায় নিয়মিত দলীয় কর্মসূচি, পথসভা, মতবিনিময়, গণসংযোগ এবং রাজনৈতিক-সামাজিক অনুষ্ঠানেও যোগ দিচ্ছেন তিনি। প্রতিটি নির্বাচনে তিনি দলের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। তাই এ আসনের স্থানীয় সরকারের বেশিরভাগ জনপ্রতিনিধিও চান তিনি মনোনয়ন পাক।
খোজ নিয়ে জানা যায়, কামরুল হাসান রিপন দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন। জনগণের খোঁজখবরও নিয়মিত রাখেন।তার নেতৃত্বেইে পিছিয়ে পড়া ডেমরা থানা আওয়ামীলীগের কার্যক্রম অনেকটা গতিশীলতা পেয়েছে। এমপি না হয়েও তিনি ডেমরা-যাত্রাবাড়ী তথা ঢাকা-৫ আসনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নানান ভাবে সম্পৃক্ত। ঢাকা -৫ আসনের আওতাধীন এলাকায় দলমত নির্বিশেষে এমপি হিসেবে দেখতে চান তৃণমূলের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ। প্রতিটি ওয়ার্ডের সর্বশ্রেণীর মানুষের মধ্যে তার আকাশচুম্বি যে জনপ্রিয়তা রয়েছে তাতে তাকে ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলে তার বিজয়ী হওয়া সুনিশ্চিত। সহজ সরল মানুষ হিসেবে কামরুল হাসান রিপনকে সকলেই পছন্দ করেন এবং তার জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি।
উপনির্বাচনে মনোনয়নের ব্যাপারে কামরুল হাসান রিপন বলেন, জনগন আমাকে ভালোবসে তাই আমি জনগনের সাথে মিশে আছি।আমার জনপ্রিয়তার কারনে এলাকাবাসী আমাকে আপন করে নিয়েছে।গনতন্ত্রের মানসকন্যা খ্যাত ও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা উপনিবাচনে আমাকে নেীকার টিকেট দিলে ঢাকা-০৫ আসনকে একটি রোল মডেল হিসেবে তৈরি করবো।