ইমাম সাহেব,চাঁদপুর ব্যাুরো প্রধান
আরবি আশারা শব্দ থেকে আশুরা শব্দটির উৎপত্তি।এর অর্থ দশ। আরবি মহরম মাসের ১০ তারিখ আশুরার দিন। আজকের এই দিনে নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এর আদরের দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) কারবালার জমিনে দুষ্ট এজিদ বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে সাহাদাত বরন করেন।ওনার শাহাদাত বরনের জন্য এই দিনটি মুসলিম জাতির জন্য শোকের মাস হলেও এই দিনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।এই আশুরার দিনেই আল্লাহ সোবহানু ওয়া তায়ালা হযরত আদম আঃ কে সৃষ্টি করেছেন এই দিনেই তাকে বেহেশতে প্রবেশ করানো হয়েছে আবার এই দিনেই ওনাকে বেহেস্ত হতে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
এই আশুরার দিনেই হযরত নূহ আঃ আল্লাহর হুকুমে তাঁর তৈরি কিস্তিতে করে প্লাবনের পানিতে যাত্রা শুরু করেন আবার এই দিনেই আল্লাহ সকল প্রানীর জোড়া নিয়ে ওনার কিস্তি যাত্রা শেষ করে।
এই আশুরার দিন হযরত মুসা আঃ আল্লাহর নিকট হতে সিনাই পাহাড়ে তার উপর মনোনিত আসমানী কিতাব তাওরাত কিতাব প্রাপ্তি হন। এই আশুরার দিনেই তিনি বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের কারাগার থেকে মুক্ত করে পানির উপর দিয়ে সাগর পার হয়ে যান এবং এই দিনেই তাদেরকে তাড়া করতে গিয়ে ফেরাউন তার স্ব দলে পানিতে ডুবে মারা যায়।
এই দিনেই হযরত ইউনুস আঃ কে আল্লাহ গভীর জলের মাঝে মাছের পেটে করে উদ্ধার করে নিরাপদ ও জীবিত রাখেন।
নবী হযরত মোহাম্মদ(সাঃ)এই দিনেই কেয়ামত হতেপারে বলেছেন।তিনি যখন মক্কায় ছিলেন তখন ও তিনি এই মাসে রোজা রাখতেন।বেশি বেশি আমল করতেন।আবার মদিনাতে গিয়েও একই আমল করতেন।মদিনাতে গিয়ে তিনি দেখেছেন এই দিনে ইহুদিদের কে আমল করতে। তিনি তাদেরকে এই আমলের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা বলে যে যেহেতু এই দিনে মুসা আঃ এর উপর আল্লাহর নিকট থেকে তাওরাত কিতাব নাজিল হয় তাই তারা এই দিনটিকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য বিশেষ আমল করেন।
এছাড়াও এই দিনে নবী (সাঃ)আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় বেশি বেশি আমল করতেন।
এছাড়াও এই দিনের আরো অসংখ্য অগুনিত তাৎপর্য রয়েছে। তাই নির্দিদায় বলা যায় আল্লাহর নিকট এই দিনটির বিশেষ কদর রয়েছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই দিনটির উছিলায় নবী মোহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) এর সকল ওম্মতকে ক্ষমা করে দিক এবং ইহকালে এবং পরকালে সর্বোচ্চ।