চট্টগ্রাম অফিসঃ
চট্টগ্রামের এক সময়ের দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ও চট্টগ্রাম বদ্দারহাট ৮ মার্ডার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সাজ্জাদ খান ও সন্ত্রাসী সরোয়ার আলম দুজন এক গ্রুপ হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি করলেও সম্প্রতি চাঁদার টাকা ভাগবাটোয়ারায় গড়মিল হওয়ায়, দুজনে আলাদা গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেছে।
এখন একজন ইন্ডিয়া বসে আরেকজন চট্টগ্রাম কককেন্দ্রীয় কারাগারে বসে চট্টগ্রামের বিবিন্ন বড় বড় পার্টস ব্যবসায়ী, দুবাই ইম্পোর্টার কাছ থেকে অনুসারীদের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করছেন এই দূর্ধর্ষ দুই শিবির ক্যাডার।
দেশের বাহিরে ও কারাগারে বসে এই দুই ক্যাডারের চাঁদাবাজি রীতিমতো সবাইকে হতভম্ব করে দেয়। যেভাবে চলে তাদের চাঁদাবাজি চলুন দেখা যাকঃ
প্রথমে নগরীর মুরাদপুরের কিছু অসাধু পার্টস ব্যবসায়ী অর্থ যোগানদাতার মাধ্যমে পেশাদার ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের নাম্বার সংগ্রহ করে জেল বা দেশের বাহির থেকে তাদের ফোন দিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেয়া, পরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় থাকা তাদের অনুসারীদের মাধ্যমে ব্যবসায়ীর সাথে মধ্যস্থতা করা। এরপর শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের আপন বোন জামাই জসীমের মাধ্যমে চাঁদাবাজির সেই টাকা সংগ্রহ করে নিজের কাছে নিয়ে আসা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন কাতারে পলাতক থাকার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছালে সরোয়ার আলম কে, গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর থেকেই চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছে শিবিরের দূর্ধর্ষ ক্যাডার সারোয়ার আলম। কিন্তু কারাগারে যাওয়ার পরও থামেনি চাঁদাবাজির কাজ। এই দুই সন্ত্রাসীর অতিষ্ঠে অনেক ব্যবসায়ী এখন তাদের পরিবার-পরিজন ও জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে কয়েক ব্যবসায়ী জানান।
বিষয়টি নিয়ে বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, এমন অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।