নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি,১৯ আগস্ট
প্রভাব বিস্তার নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে করে বন্যা দুর্গতদের মাঝে দলটির ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ভেস্তে গেছে। বুধবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের উপস্থিতিতে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভেলাকোপা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে জড়ায় জেলা বিএনপির দুটি গ্রুপ। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ সহ অন্তত ১৫ নেতাকর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিএনপি ও ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী জানান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও রংপুর বিভাীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের উপস্থিতিতে বন্যা দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠান শুরুর প্রাক্কালে জেলা বিএনপি’র সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা গ্রুপের নেতাকর্মীদের মাঝে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
হামলায় আহত জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বলেন,‘ ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে যাওয়ার সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রানার নেতৃত্বে কিছু চিহ্নিত ও কারাভোগ করা সন্ত্রাসী রিজভী আহমেদ সহ আমাদের নেতাকর্মীদের মঞ্চে যেতে বাধা দেয়। এতে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক তার চিহ্নিত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে এমন বর্বরোচিত হামলা করে।’
বিএনপির একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সংঘর্ষে সাইফুর রহমান রানা আহত হয়ে কুড়িগ্রাম শহরের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মোবাইল ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। আর এর নেপথ্যে রয়েছে সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ ।’
নিজের উপস্থিতিতে দলের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানতে দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মাহফুজার রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশ পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি :
তাং: ১৯/০৮/২০২০ইং
মোবাইল নং: ০১৭১৭১২০৭১৫