শিক্ষা সচিব বলেছেন খুব শীঘ্রই ১৫ দিনের নোটিশে এইচএসসি পরিক্ষা হবে এবং পরীক্ষা হবে এক/দুই বেঞ্চ পর পর পরীক্ষার্থী বসিয়ে।এভাবে কী স্বাস্থ্যবিধি মানা আদৌ সম্ভব?
১৩ লাখ পরিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক, অভিভাবক,আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মী, প্রশাসনের আমলাগন এবং লক্ষাধিক শিক্ষক। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ব্যাক্তিগত স্বাস্থ্যের সাথে রয়েছে তাদের পরিবারের স্বাস্থ্যঝুকি।
আপনি পরিক্ষার হলে স্বাস্থ্যবিধি দেখাচ্ছেন,
এই মানুষগুলো যারা পরirwক্ষা হলে আসবে তাদের বেশিরভাগই আসবে গনপরিবহনে।
সেখানে কি আপনি বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে পারবেন?
যদি ২-৩ টা পরীক্ষা দেয়ার পর কোন শিক্ষার্থী করোনা পজিটিভ ধরা পরে,তখন সে কি করবে?
আক্রান্ত পরিক্ষার্থীর যদি পরীক্ষার হলেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয়,তবে কি তারা পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যাবস্থা পাবে?
আর যদি সে সবগুলো পরিক্ষা দিতে না পারে,সে কি তবে এবারের জন্য ফেইল?
যেই পরীক্ষার হলে সে পরিক্ষা দিচ্ছিল,
সেখানকার একজlzefনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়লে,সেই রুমের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা কি করবে?
কোয়ারেন্টাইনে থাকবে?
-তাহলে পরিক্ষা কে দিবে?
আর যদি আক্রান্ত হয়ে কোন শিক্ষার্থী মারা যায়,তার দায়ভার কে নিবে?
-তার বাবা-মা নাকি সরকার?
এদের মধ্যে অনেক পরিক্ষার্থী হয়তো থাকবে যে তার পরিবারের একমাত্র কর্মক্ষম ছিল।
-তার মৃত্যুর পর তার পরিবারের দায়িত্ব কে নিবে?
এভাবেও কি একটা দেশের বোর্ডের পরীক্ষা নেয়া এতটাই দরকার?
তাছাড়া মাসখানের আগে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বলেছিলেন ১ বছর পরিক্ষা না দিলে কেউ অশিক্ষিত হয়ে যাবে না।তবে কেন এখন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে।
তাছাড়া এবার দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় দেশের প্রায় ৩১ টি জেলার অংশবিশেষ এখনো পানির নিচে। গ্রামের পরিক্ষার্থী কিভাবে পরীক্ষা দিবে। সেখানকার পরিক্ষার্থীদের কথাও বিবেচনা করা উচিত।
পরিশেষে অনুরোধ জানাই বাংলাদেশ সরকার,বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনি এবং তদসংশ্লিষ্ট আমলাদের কাছে যাতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হয়।
নতুবা নতুন কোন উপায় বের করা হয়।