ফরিদ মিয়া নান্দাইল ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :-
পাঁচ সদস্যের পরিবারে চারজনই প্রতিবন্ধী। পেশা তাদের ভিক্ষাবৃত্তি।
এমনই একটি পরিবার রয়েছে দৈনিক বাংলার অধিকার প্রতিবেদনে আসে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার শেরপুর গ্রামে।মোঃ বারিকের তিন ছেলে আবুল কালাম, রবিউল ইসলাম, রতন মিয়া ও তার স্ত্রী সফুরা আক্তার এই পাঁচ জনকে নিয়ে তাদের সংসার । বসবাস করতেন একটি জীর্ণ শীর্ণ ঘরে।
একমাত্র আঃ বারিক ছাড়া সবাই শারিরীক প্রতিবন্ধী। তিনিই একমাত্র কর্মক্ষম ব্যাক্তি। এই অসহায় পরিবারের দূর্দশার কথা মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে গতবছর নজরে আসে প্রশাসনের।
এরপর উপজেলা প্রশাসনের আন্তরিকতায় তারা একটি সরকারি ঘর পায়। উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে তাদের সবাইকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাতা কার্ড দেওয়া হয়।
এই পরিবারটি কোন দিন কুরবানি করে দেখেনি। মানুষের দানে পাওয়া মাংস পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
“আপনার কুরবানি অন্যের আহার”এই শ্লোগান কে সামনে রেখে মুক্তির বন্ধন ফাউন্ডেশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এবছর এই পরিবারটির হাতে একটি খাসি সহ ঈদের সামগ্রী তুলে দিল।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ এরশাদ উদ্দীন, সমাজসেবা অফিসার মোঃ ইনসান আলী সাংবাদিক আবু হানিফ সরকার, ফরিদ মিয়া ও মানবাধিকার কর্মী লেখক কলামিস্ট সাইদুল রহমান। সংগঠের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আজহারুল ইসলাম পলাশ ও অন্যন্য সদস্য বৃন্দ ।
খুশিতে আত্মহারা হয়ে পরিবারের পক্ষে আঃ বারিক সংগঠনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ইউএনও এরশাদ দৈনিক বাংলার অধিকার কে বলেন, একটি ভালো কাজের সাথে যুক্ত হতে পেরে গর্ববোধ করছি। তিনি আরও বলেন প্রতিটি মানুষকে তাদের নিজনিজ অবস্থান থেকে এভাবেই মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত।