মোঃতারিফুল আলম (তমাল)
শেরপুর,জেলা,প্রতিনিধিঃ
শেরপুরে ২৪ গত ঘন্টায় অবিরাম বর্ষনে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। রবিবার বন্যার পানিতে ডুবে নাইমুর রহমান নাইম (২৪) নামে এক স্কুল শিক্ষক নিখোজ হওয়ার দুদিনেও সন্ধান মিলেনি। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে জেলায় এ যাবত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যার পানিতে রাস্তা ঘাট বিধ্বস্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে পরেছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে আমন বীজতলা, রুপা আমন, আউশ, পাট ও শাক সবজি আবাদের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। শেরপুর সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নসহ জেলার প্রায় ২০টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। পানিবন্দি লোকজন মানবেতর জীবন যাপন করছে। গবাদি পশু নিয়ে কৃষকদের দুর্ভোগের শেষ নেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও খাদ্যের সংকট। সরকারীভাবে যে পরিমানে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মুহিত কুমার দে বলেন, বন্যার ফসলের ক্ষতির তালিকা নিরুপন করা সম্ভব হয়নি। পানি নেমে যাওয়ার পর তা নিরুপন করা যাবে।