ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, প্রতিনিধিঃ
দেশে এক শাহেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই আঙ্গুল পুলে কলাগাছ হওয়া আরেক শাহেদ রুপি মিঠুর মুখ উন্মোচন হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সময় বাংলা টেলিভিশনের রিপোর্টারের কাছে এমনি তথ্য এসেছে৷ নতুন এই শাহেদের নাম মেহেদী হাসান মিঠু।
জানাযায় এই ” নতুন সাহেদ খ্যাত” মিঠু এক সময় তারেক জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং গেলো ২০১৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে বাগেরহাট ৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু এখন ঢাকায় এসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় প্রশাসনিক দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা বা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে ছবি তুলে ঢাকায় অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসার অন্তরালে মাল্টিপারপাসের আদলে এমএলএম কোম্পানী করে কোন প্রডাক্ট ছাড়াই শুধু স্ক্রিন সেল করে দেশের যুব সমাজকে পথে বসানোর একটি ফাঁদ তৈরি করেছে।
গেলো ১৭ই জুন সকালে প্রতারনার দায়ে রামপুরা থানার চৌকস পুলিশ অফিসারের সাহসীকতায় মিঠু চক্রের এক সক্রিয় সদস্য মাই স্টাইলের ডিরেক্টর নুরে আলমকে গ্রেপ্তার করে পরে নুরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড এবং জামিন দুটাই নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সুত্র বলছে, এই বিএনপির সক্রিয় সদস্য মিঠু চক্রের গ্রেপ্তার হওয়া এই নুরে আলমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার সুবাধে তার বড় ভাই জমায়েতের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জঙ্গি ট্রেইনিং করাতো পরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আরো জানাযায়, নুরে আলমের আরেক ভাই খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে তিনিও জেলে আছেন, এবং সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া এই নুরে ঢাকায় এসে আত্মগোপন থেকে মেহেদী হাসান মিঠুর সাথে যোগদিয়ে মিঠুর সাথে মাস্টার প্ল্যান করে একটি প্রতারক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, যা অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্নজনকে দিয়ে হাজার হাজার যুবক থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই নুরে আলমের সারাদেশে প্রতারণার হাজার হাজার মামলা রয়েছে। এই সিন্ডিকেট মূলত মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের টার্গেট করে এগুচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনীতিবীদের সাথে কথা বলে জানাযায় এই নুরে আলমেকে রিমান্ডে দিলে দেশের হাজার হাজার লোকের জালিয়াতি করে টাকা নেওয়াসহ জঙ্গি ট্রেনিংয়ের বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসতো, এবং এই সিন্ডিকেটের কোম্পানীর সকল কাগজপত্র চেক করে তদন্ত করলে মূল রহস্য উন্মোচন হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে সাহেদ খ্যাত মিঠুর পিতা আব্দুল আলিম তৎকালীন সময়ে বাগেরহাট ৩ আসনে বিএনপি জমায়েতর নেতৃত্ব দিতেন, পরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকার বিরোধী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আন্দোলেনসহ অনেক অনিয়ম ও দুর্ণীতি থাকাতে মিঠুর সপরিবার ঢাকায় এসে গা ডাকা দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সাথে মিশে গেছেন।
সমাজবিদরা বলছে, সম্প্রতি আলোচিত সাহেদের মত আমাদের সমাজের চারপাশে হাজারো সাহেদ রয়েছে, প্রশাসন শুধু এক সাহেদকে নজরে রাখলে চলবে না। মিঠু চক্রের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে প্রশাসনকে৷ নাহয় যেকোন সময় যেকোন ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে সাহেদের মত হাজারো সাহেদ।
ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, প্রতিনিধিঃ
দেশে এক শাহেদ গ্রেপ্তার হওয়ার পরপরই আঙ্গুল পুলে কলাগাছ হওয়া আরেক শাহেদ রুপি মিঠুর মুখ উন্মোচন হতে চলেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সময় বাংলা টেলিভিশনের রিপোর্টারের কাছে এমনি তথ্য এসেছে৷ নতুন এই শাহেদের নাম মেহেদী হাসান মিঠু।
জানাযায় এই ” নতুন সাহেদ খ্যাত” মিঠু এক সময় তারেক জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এবং গেলো ২০১৮ সালের সংসদীয় নির্বাচনে বাগেরহাট ৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রার্থী ছিলেন, কিন্তু এখন ঢাকায় এসে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় প্রশাসনিক দপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তা বা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের সাথে ছবি তুলে ঢাকায় অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসার অন্তরালে মাল্টিপারপাসের আদলে এমএলএম কোম্পানী করে কোন প্রডাক্ট ছাড়াই শুধু স্ক্রিন সেল করে দেশের যুব সমাজকে পথে বসানোর একটি ফাঁদ তৈরি করেছে।
গেলো ১৭ই জুন সকালে প্রতারনার দায়ে রামপুরা থানার চৌকস পুলিশ অফিসারের সাহসীকতায় মিঠু চক্রের এক সক্রিয় সদস্য মাই স্টাইলের ডিরেক্টর নুরে আলমকে গ্রেপ্তার করে পরে নুরে আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড এবং জামিন দুটাই নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
সুত্র বলছে, এই বিএনপির সক্রিয় সদস্য মিঠু চক্রের গ্রেপ্তার হওয়া এই নুরে আলমের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাথে ঢাকার সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার সুবাধে তার বড় ভাই জমায়েতের সক্রিয় সদস্য হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জঙ্গি ট্রেইনিং করাতো পরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
আরো জানাযায়, নুরে আলমের আরেক ভাই খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দন্ডপ্রাপ্ত হয়ে তিনিও জেলে আছেন, এবং সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া এই নুরে ঢাকায় এসে আত্মগোপন থেকে মেহেদী হাসান মিঠুর সাথে যোগদিয়ে মিঠুর সাথে মাস্টার প্ল্যান করে একটি প্রতারক সিন্ডিকেট তৈরি করেছে, যা অনলাইন ই-কমার্স ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্নজনকে দিয়ে হাজার হাজার যুবক থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই নুরে আলমের সারাদেশে প্রতারণার হাজার হাজার মামলা রয়েছে। এই সিন্ডিকেট মূলত মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রদের টার্গেট করে এগুচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রাজনীতিবীদের সাথে কথা বলে জানাযায় এই নুরে আলমেকে রিমান্ডে দিলে দেশের হাজার হাজার লোকের জালিয়াতি করে টাকা নেওয়াসহ জঙ্গি ট্রেনিংয়ের বিষয়ে তথ্য বেরিয়ে আসতো, এবং এই সিন্ডিকেটের কোম্পানীর সকল কাগজপত্র চেক করে তদন্ত করলে মূল রহস্য উন্মোচন হবে বলেও জানান তিনি।
অপরদিকে সাহেদ খ্যাত মিঠুর পিতা আব্দুল আলিম তৎকালীন সময়ে বাগেরহাট ৩ আসনে বিএনপি জমায়েতর নেতৃত্ব দিতেন, পরে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সরকার বিরোধী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র আন্দোলেনসহ অনেক অনিয়ম ও দুর্ণীতি থাকাতে মিঠুর সপরিবার ঢাকায় এসে গা ডাকা দিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের সাথে মিশে গেছেন।
সমাজবিদরা বলছে, সম্প্রতি আলোচিত সাহেদের মত আমাদের সমাজের চারপাশে হাজারো সাহেদ রয়েছে, প্রশাসন শুধু এক সাহেদকে নজরে রাখলে চলবে না। মিঠু চক্রের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে প্রশাসনকে৷ নাহয় যেকোন সময় যেকোন ধরনের বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে সাহেদের মত হাজারো সাহেদ।