বাসুদেব দাশ
সাতক্ষীরা, জেলা প্রতিনিধি:-
কুমারী শিরিনার গর্ভজাত সন্তান পিতৃ পরিচয়হীনভাবে অনাদর আর অবহেলায় বেড়ে উঠছে। যে শিশুর বাবার পরিচয়ে সমাজে পরিচিত হওয়ার কথা ছিল। সে আজ অবৈধ সন্তান (জারজ) হিসেবে মানুষ হ অন্যের বাড়িতে। তাকে জন্ম দিয়েছেন যে বাবা তিনি বহাল তবিয়তে মানসম্মানের সাথে সমাজে বুক চিতিয়ে চলাফেরা করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানাধীন কুমিরা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামে, ঘটনাটি ঘটেছে বিগত ২০০৮ সালে।
সরজমিনে জানা গেছে, পাটকেলঘাটা থানাধীন কুমিরা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের তছলে ওরফে কোদার কিশোরী/শিশুকন্যা শিরিনা ওরফে ছোটখুকু দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার উপর কুনজর পড়ে একই এলাকার জনৈক এক লম্পট যুবকের। প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ও জোরপূর্বক ছোটখুখুকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে ওই লম্পট যুবক। এক পর্যায়ে শিরিনা ওরফে ছোটখুকু গর্ভবতী হয়ে পড়ে।
এক পর্যায়ে কয়েক মাসের গর্ভবর্তী কিশোরী শিরিনা ওরফে ছোটখুকুকে সাতক্ষীরা শহরে নিয়ে আসে ওই লম্পট যুবক গর্ভপাত করার জন্য। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ছোটখুকুর গর্ভপাত সম্ভব হয়নি। এক পর্যায়ে সে এক নবজাত মেয়ের জন্ম দেয়। পিতৃ পরিচয়হীন ছোটখুকুর গর্ভজাত শিশুকন্যা হিরামনি এখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ালেখা করছে। কিন্ত সমাজে তো তার কোন পিতৃ পরিচয় নেই। কিশোরী মাতা ছোটখুকু তার মেয়েকে সমাজে পিতৃ পরিচয়ে বড় করতে চান।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছোটখুকুর সন্তানের পিতা (তাকে প্রেমের অভিনয় করে ধর্ষকারী) লম্পট যুবক তাকে যখন গর্ভপাত ঘটাতে পারেনি এবং ছোটখুকু মেয়ে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এক পর্যায়ে শিশুকন্যাকে পাটকেলঘাটা থানার বয়ারডাঙ্গা গ্রামের মৃত কারী ফজলুর রহমান ওরফে কারী সাহেবের নিঃসন্তান বিধবা কন্যা মারিয়া বেগমকে ম্যানেজ করে তার কাছে দিয়ে দেয় লালন পালনের জন্য। তদন্তে জানা গেছে শিশু হিরামনির পিতা ওই লম্পট যুবক মারিয়া বেগমের মামতো ভাই।
এখন কিশোরী মাতা শিরিনা ওরফে ছোটখুকুর দাবি তার সন্তানের পিতৃ পরিচয় চায় সে। এবং প্রয়োজনে হিরামনির পিতৃ পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ টেস্ট জরুরি। ডিএনএ টেস্ট করলে জানা যাবে হিরামনির বাবা কে। আর আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে মারিয়া বেগম কেমন করে মামাতো ভাইয়ের শিশুকন্যার মা হলেন!