সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ঘুরেফিরে আলোচনায় আসছে সিএনজি অটোরিক্সা ভাড়া নৈরাজ্যের খবর। ছাগলনাইয়ার গণপরিবহনের সংকটময় সময়ে সিএনজি চালকদের দৌরাত্ম্য অতীতের সব সীমা লঙ্ঘন করেছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানাযায়, ছাগলনাইয়াতে চুক্তিভিক্তিক সিএনজি অটোরিকশা চলছে। প্রতিটি সিএনজিতে মিটার থাকলেও, কিন্তু চালকরা মিটারে যাতায়াত করেন না। চুক্তিভিত্তিক ভাড়ায় চলা যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। যারা এসব দেখভাল করার কথা তারা চোখ বুজে আছেন। ছাগলনাইয়া অটোরিক্সা’র সংখ্যা প্রায় ১ হাজার থেকেও বেশি। সরকার ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর থেকে মিটার রিডিংয়ে ভাড়া নির্ধারণের নির্দেশ দিলেও ছাগলনাইয়া সিএনজি অটোরিক্সা মালিক ও চালকদের উদাসিনতা থমকে রয়েছে। নজরদারির জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকলেও এই নিয়ম মানছেন না মালিক সমিতি। অটোরিক্সা মালিকদের ভাড়া নির্ধারণ করা থাকলেও মালিক ও চালকেরা তা মানছেন না। আর এই বাড়তি চাপ পড়ছে ছাগলনাইয়া উপজেলা যাত্রীদের ওপর। অর্থাৎ কেউই আইন মানছেন না। ফলে চালকরা লকডাউনের অযুহাতে যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছামতো ভাড়া নিচ্ছে বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাগলনাইয়া থেকে বক্সমাহমুদ, করেরহাট, মুহুরিগন্জ ও ফেনী রুটে প্রত্যক যাত্রী থেকে ৫০-৬০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকেন সিএনজি অটোরিক্সা চালক। এই বিষয়ে সিএনজি অটোরিক্সা চালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, নুরুল আমিন, দুলাল, আলাউদ্দিন, হুদামিয়া, হুমায়ুন ও কামালকে জিজ্ঞেস করলে তারা ভাড়ার ব্যাপারে অকপটে স্বীকার করে। নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহনীয় করার ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রসাশন তার দায় অস্বীকার করতে পারে না। সিএনজি চালকরা যাত্রীদের মুখের দিকে না তাকিয়ে ভাড়া হাঁকেন অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে তা কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়। সিএনজি নিয়ে অরাজকতায় মালিক, চালক ও কর্তৃপক্ষ সমন্বয় করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলে মনে করছে অনেকেই। পাশাপাশি আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। ছাগলনাইয়ার অনেক সিএনজি অটোরিক্সা যাত্রী ও সাধারন জনগন মনে করেন, আইনি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা না গেলে ভাড়া সন্ত্রাস দূর করা যাবে না। সিএনজির যাত্রীসেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো তথা স্থানীয় প্রসাশন এ ব্যাপারে অবিলম্বে যথাযথ পদক্ষেপ নেবে বলে ছাগলনাইয়াবাসির প্রত্যাশা।