স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিলের ৫৬ তম জন্মদিন শনিবার। ১৯৬৪ সালের ২৭ জুন মরহুম মোফাজ্জল হোসেন খান ও মরহুমা হামিদা বেগমের ঘর আলোকিত করে নিশ্চিন্তপুর মতলব-উত্তর চাঁদপুরের সম্রান্ত খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন নিখিল।সাত বোন, চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সেজো। নিখিল ১৯৭৯ সালে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরবর্তিতে তিনি বগুড়া’র শাহ সুলতান ডিগ্রী কলেজ থেকে বি এস এস ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৭ সালে ঢাকার নবাবগঞ্জের সম্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা মমতাজ বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক । বড় ছেলে মাসরুর হোসেন খান নাবিল, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নরত। ছোট ছেলে মুসারাত হোসেন খান নাহিদ, উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যায়নরত । ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতি সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন নিখিল। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ গণতান্ত্রিক সব আন্দোলনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। ৯০ দশকে লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯১সালে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর যুবলীগের সাবেক (৯ নং ওয়ার্ড) বর্তমান ১৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে সাধারণ সম্পাদক ও ২০১২ সালে সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। যুবলীগের এ নেতা বিএনপি জামাত জোট সরকারের আমলে বহুবার কারা নির্যাতনের শিকার হন। বহুবার পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন। এখনো শরীরের আঘাতের চিহৃ নিয়ে রাজনীতির মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০০৪ সালে তৎকালী ঢাকা জোনের ডিসি কোহিনুর পল্লবী থেকে উনাকে আটক করে কারাগারে পাঠান। দুইদিন পর মুক্তি পেয়ে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা’র সাথে দেখা করেন। যুবলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক ও আওয়ামী লীগ সভাপতি রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সফর সঙ্গীও হয়েছিলেন তিনি। ২০১০ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র সাথে জাতিসংঘের অধিবেশন যোগ দেন। এরপর ২০১১ সালে পরিবারের সকল সদস্যদের নিয়ে উমরাহ হজ্ব পালন করেন। আলহাজ্ব মো: মাইনুল হোসেন খান নিখিল ব্যাক্তি জিবনে একজন সদালাপী , নম্র, ধার্মিক, সমাজ সেবক, ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি ব্যাপক সফলতা লাভ করেছেন। কর্মজীবনে তিনি নাবিল প্রোপ্রাইর্টিজ লিমিটেড, নাবিল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মেসার্স খান ট্রেডার্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছোট বেলা থেকে সমাজসেবক মরহুম বাবার সান্নিধ্যে থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। নিজ গ্রাম চাঁদপুর মতলব উত্তর বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এছাড়া তিনি নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয় , নিশ্চিন্তপুর ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, ঢাকা মিরপুরের বায়তুল আমান জামে মসজিদ ও দারুল কোরআন এতিম খানা মাদ্রাসা , বায়তুল মামুন জামে মসজিদ , বায়তুল আশরাফ জামে মসজিদ, বায়তুল রব জামে মসজিদ , বায়তুল আহসান জামে মসজিদ , খান বাড়ী বায়তুল ফালহা জামে মসজিদের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র সুখী ও সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সামনে থেকে যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে যুবলীগকে ইতিবাচক ধারায় রাজনীতিতে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন। এদিকে তার জন্মদিন উপলক্ষে যুবলীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।