নিজস্ব প্রতিনিধি হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় ১৬৩বছরের পুরনো শ্রী শ্রী গোপাল জিউ আশ্রম ও দেবোত্তর সম্পাদ দখল করে ঘর বাড়ি ও আশ্রমের পুকুরের পাড়ে মসজিদে শৌচাগার সহ আশ্রম কমিটিকে না জানিয়ে প্রতিরক্ষা দেওয়ার নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। স্বরজমিনে জানা যায় সরকারের বরাদ্দ অর্থে পুকুরের পাড়ে একটি ঘাটলা নামে দখল করে নির্মাণের করে এর সংলগ্ন পাশে পুকুরের জায়গা দখল করার জন্য শুরু করেছে প্রতিরক্ষা দেওয়ালের কাজ। এ ঘটনায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে লাখাই উপজেলার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে। আশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি তাপস কিশোর রায় জানান,৷ শত বছর আগে জমিদার হর কিশোর চৌধুরীর একমাত্র সন্তান সাবেক বিচারপ্রতি ব্যারিষ্টার তারা কিশোর চৌধুরী উরফে শ্রীশ্রী১০৮স্বামী সন্তু দাস কাটিয়ারা মহারাজ উনার স্হাবর অস্থাবর সম্পাদ উপজেলা সদরে পাশে বামৈ শ্রীশ্রী গোপাল জিউ বিগ্রহের নামে দান করেন। আশ্রমটি পরিচালনা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য তিনি ১৫ একর ১২ শতাংশ জায়গা ২০১২/১৩ সনে অর্পিত সম্পাতি থেকে অবমুক্তি করা হয়। ২০১৩/১৪সনে ২৮১০নং খতিয়ায়ানে শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আশ্রমের নামে নামজারি হয়েছে। আশ্রমের নামো খাজনা পরিশোধ করা হয়,এই দেবদত্ত সম্পত্তি শ্রীশ্রী গোপাল জিউ আশ্রমের অনুকূলে বুঝিয়ে বিদান থাকলেও এখনো পর্যন্ত সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না,। লাখাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক আশীষ দাশ গুপ্ত বলেন বর্তমানে বেশীর ভাগ জাশগা এই জবরদখল কারীদের দখলে গত বছর আশ্রমের জায়গা উদ্ধারের দাবীতে মানববন্ধন করেছি লাখাই উপজেলার জেলার সনাতন ধর্মালন্বীদের নিয়ে ইউএনও নিকট স্মারক লিপি দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি। হিন্দু বুদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের লাখাই উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক দেবাশীষ অচার্য্য বলেন গত বছর আশ্রমের পুকুরে মসজিদের পুকুর নামে হবিগঞ্জের ডিসি ঘটলা বরাদ্দ দেয়। আমরা প্রতিবাদ করার পর ইউ,এন,ও স্যার বলে ছিল আশ্রমের নামে ঘাটলা করবে কিন্তু তাও হলোনা।
এ বছর ঘটনার পূর্ব দিকে কি আশ্রমের পুকুরের নামে বরাদ্দ দিয়েছে তা আমরা জানিনা, পশ্চিম দিকে দেওয়াল এর কাজ করছে তা কে করছে আমরা জানিনা। দিকাদার বশির মিয়া জানান তহশিল অফিস পর্যন্ত ৮০ ফোট আমি কাজ পেয়েছি আমি কাজ করছি তবে পুকুর টা গোপাল আশ্রমের শুনেছি, আগে জানিনা, বামৈ ইউনিয়নের তশিলদার বলেন মসজিদ কমিটির লোকজনকে বলেছি মন্দির কমিটির কে বলাছে তারা কোন উত্তর দেয়নি। জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের পর পাকিস্তান সরকার এই জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিয়েও ব্যার্থ হয়। ১৯৭১ সনের পরে কিছু ব্যাক্তি নামে বেনামে জাল দলিল করে। কিন্তু সেটেলমেন্ট জরিপে সমস্ত জায়গা আশ্রমের নামে রেকর্ড হয়, এবং নামজারি হয় সরকারী খাজনাও দেওয়া হয়েছে।লাখাএ পুজা উদযাপন পরিষদ সাবেক সাধারন সম্পাদক সম্পাদ রায় বলে এখনও যে সব জায়গা আশ্রমের দখলে আছে তাও সু পরিকল্পিত ভাবে দখল করার চেষ্টা করছে। যে স্হানে দখলকারীদের প্রশাসন সহযোগিতা করেন সে কারনে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকের প্রতিবাদ করতেও সাহস পাচ্ছে না।গত ২২ জুন দেওয়ার কাজ শুরু করে , আশ্রমের সভাপতি গত ২৪ জুন হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি দরখাস্ত করলে তা লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট ফেরন করলে তিনি বামৈ ইউনিয়ন তহশিলদারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ায় নির্দেষ দেয় এবং কাজ বন্ধ করতে বলা হয়।