ফরহাদ হোসেন জনি, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজদিখানে বিষ প্রয়োগে ভাই ভাই হ্যাচারী ও শাপলা মৎস্য হ্যাচারীর ১১ লাখ টাকার রুই, কাতলা,মিরকা, কালিবাউস, বাটা, পুঁটি, গ্লাসকাপ মাছসহ অন্যান্য মা ও বাবা মাছ নিধন করেছে দুস্কৃতকারীরা । মঙ্গলবার গভীর রাতে ৪ টি পুকুরে বিষ দিয়ে এ মা ও বাবা মাছ গুলো মারা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কোলা ইউনিয়নের নন্দনকোনা গ্রামের ভাই ভাই মৎস্য হ্যাচারি ও শাপলা মৎস্য হ্যাচারির পুকুর গুলোতে। ভাই ভাই হ্যাচারির মালিক নূর ইসলাম জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে কে বা কারা পুকুরে বিষ দিয়ে মা ও বাবা মাছ মেরেছে আমি জানিনা । আমার কর্মচারী বুধবার সকাল ৬ টায় মাছগুলো পুকুরের উপরে ভেসে উঠছে দেখে আমাকে খবর দিলে আমি দ্রুত এসে দেখি কিছু মাছ চিৎ হয়ে ভাসছে এবং কিছু মাছ মারা গেছে। পরে দ্রুত কিছু মাছ ধরে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। বিষয়টি সিরাজদিখান থানায় ও মৎস্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি । থানা থেকে পুলিশ এসে দেখে গেছে। তিনি আরো জানান, এর আগেও দুইবার মা মাছ মেরেছে দুস্কৃতকারীরা। তখন আমার ১৬ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছিলো। এবার প্রায় ৮ লক্ষ টাকা ক্ষতি হবে। শাপলা মৎস্য হ্যাচারির মালিক খোরশেদ আলম বলেন, গতরাতে বিষ দিয়ে আমার দুইটি পুকুরের মাছ ক্ষতি করেছে। একটা পুকুরের মাছ মরে ডুবে গেছে। অন্য পুকুরের মাছ কিছুটা বাঁচাতে পেরেছি। মা ও বাবা মাছ মরায় প্রায় আমার ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হবে। এ বিষয়ে এখনো থানায় অভিযোগ করিনি তবে করবো। আর দুই মাস পরেই মাছগুলো থেকে ডিম সংগ্রহ করতাম। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা যুধিষ্ঠির রঞ্জন পাল জানান, আমি অসুস্থ থাকার কারণে যেতে পারিনি। তবে বিষয়টি আমি জেনেছি। এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনা স্থলে পুলিশ গিয়েছিল, এ পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। তিনি আমাকে জানান তার সাথে একটি গ্রুপের সাথে জগড়া রয়েছে। কালকেও নাকি ওনার সাথে জগড়া হয়েছে। ধারনা করতেছি এটার কারণে বিষ প্রয়োগ করতে পারে। অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।