বাসুদেব দাশ, সাতক্ষীরা জেলা, প্রতিনিধি:-
আজ বিশ্ব মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সারাবিশ্ব আতঙ্কিত। এই মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে মানুষ বিভিন্ন পথ অবলম্বন করছে।
মহামারী করোনা ভাইরাস দুর্যোগের কারণে পুরো বাংলাদেশ বিপর্যস্ত। প্রতিনিয়ত ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঠিক সেই কারণেই ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রায় বন্ধ বললেই চলে। দীর্ঘ লকডাউন এর কারণে সাতক্ষীরা জেলার, পাটকেলঘাটা থানার ডেকোরেটর মালিকরা রয়েছে চরম বিপাকে।
পাটকেলঘাটা থানার ডেকোরেটর মালিকদের মধ্যে কথা হয় অমিত ডেকোরেটর এর মালিক মহাদেব দে, শুভ ডেকোটারের মালিক সুব্রত দাশ, জলিল ডেকোরেটর এর মালিক আব্দুল জলিল, মিতালী ডেকোরেটরের মালিক শিমুল দাস, নিউ ভেনাস ডেকোরেটরের মালিক ইউসুফ আলী, একতা ডেকোরেটরের মালিক কেষ্টপদ পাল, মাধুরী ডেকোরেটরের মালিক ঝন্টু পদ পাল, আল মামুন ডেকোরেটরের মালিক মুক্তার সহ আরো অনেকে বলেন, আমরা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উৎসবের ডেকোরেশন করে অর্থ উপার্জন করি। দীর্ঘদিন ধরে মহামারী করোনার ভাইরাসের কারণে সকল উৎসব-অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
যার কারণে আমরা ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা অসহায় এবং কর্মহীন হয়ে পড়েছি। ঘর ভাড়া, গোডাউন ভাড়া, শ্রমিকদের খরচ, ডাক্তার-ঔষধ এবং দৈনন্দিক সংসার খরচ চালানো একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
আরও বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সহ সরকার এ বিষয়ে সুনজর দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দিলে ডেকোরেটর ব্যবসায়ীরা কর্মের সন্ধান পাবে।
মালিকরা আরও বলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সহৃদয়বান ব্যক্তি, তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার এবং বাংলাদেশ সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে বলেন যদি আমাদের এখনই সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা না পাই তাহলে অচিরেই আমাদের জীবন যাপন করা দুর্বিসহ হয়ে পড়বে। এছাড়াও আমাদের ব্যাংক লোন, এনজিওর কিস্তি সহ দৈনন্দিক সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই মা, বাবা, ছেলে, মেয়ে, বউ বাচ্চার যন্ত্রণায়, নিরুপায় হয়ে আমাদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে।
তাই অচিরেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সহৃদয়বান ব্যক্তি, তালা উপজেলা নির্বাহি অফিসার সহ বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে যাতে সরকারি সাহায্য পেয়ে দৈনন্দিক জীবনযাত্রা চালিয়ে যেতে পারেন সেই কামনাই করেন সকলের কাছে।