মোঃ মাসুদ রানা,কচুয়াঃ কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসে প্রার্দুভাবে বিশ^ যখন স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন যখন বিপর্যস্ত মানুষের সেই বিপদের সময় সেই ক্লান্তি লগ্নে জনগনের পাশে আছে বিশে^র সর্ববৃহৎ উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক। গত ২২ মার্চ থেকে ব্র্যাক তার মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচীর আদায় কার্যক্রম বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মানা, সচেতনতা এবং বিভিন্ন সেবামুলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করেন। বিভিন্ন মসজিদ,মন্দির,বাজার ও রাস্তার মোড়ে স্বাস্থ্যবিধি নিয়ম অনুযায়ী হাত ধোয়ার ব্যবস্থা,ঔষুধ ও মুদির দোকানের সামনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটার জন্য বৃত্ত অংকন ও বিভিন্ন যানবাহনে জীবানুনাশক স্প্রে ছিটানো এবং কর্মীদের মাধ্যমে ব্র্যাকের সকল গ্রাহকদের মোবাইলে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করা,স্বাস্থ্য সেবিকাদের মাধ্যমে বাড়ী বাড়ী গিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ অব্যাহত রেখেছে। এদিকে সদস্যদের আর্থিক সংকটের কথা বিবেচনা করে কচুয়া এলাকার বিভিন্ন অফিসে প্রায় ১৫শ জন সদস্যকে বিকাশে সঞ্চয়কৃত টাকা ফেরত দেওয়া হয়। গ্রামীণ,কৃষি,ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসার অর্থনৈতিক চাকা সজল রাখার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে ঋন বিতরণ করা হচ্ছে। ঋন বিতরণ করার সময় সদস্যদের কে ২টি করে সাবান,২টি প্যাকেট টয়লেট ক্লিনিং পাউডার দেওয়া হচ্ছে এবং তা অব্যাহক রয়েছে। ডিপোজিটের লভ্যাংশের টাকা ও মৃত সদস্যার নমিনীকে বীমা সুবিধা বিকাশ ও নগদে প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া কচুয়া ব্র্যাকের সদস্য রহিমা বেগম,নাছিমা আক্তার, নারগিছ,শাহআলমসগ আরো একাধিক সদস্যরা জানান, করোনা কালীন সময়ে ব্র্যাকের স্যারেরা আমাদের কিস্তির জন্য কোনো প্রকার চাপ দিচ্ছেনা এমন কি এই বিপদে স্যারেরা সব সময় খোজখবর নিচ্ছে। এই দু:সময়ে ঋন পেয়ে এবং বিকাশে সঞ্চয় ফেরত পেয়ে আমরা ব্র্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞ ও আমরা অনেক খুশি। এব্যাপারে চাঁদপুর জেলার আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (দাবি) এ.এস.এম কামরুল হাসান বলেন, ব্র্যাক বিভিন্ন দূর্যোগ মোকাবেলায় ব্র্যাকের জন্মলগ্ন থেকে মানুষের পাশে আছে এবং কাজ করে আসছে। এমন কি বর্তমান সময়ের বিশ^ব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই জনগনকে সচেতনতার পাশাপাশি সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ব্র্যাক কচুয়া এলাকা ব্যবস্থাপক (দাবি) মো: আইয়ুব ভূঁইয়া ও কচুয়া সদর শাখার ব্যবস্থাপক মো: আব্দুল্লাহ হেল বাখির বলেন, গত ২২ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সদস্যদের কিস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। এমনকি কৃষি,অর্থনীতি,ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীদের অথনৈতিক চাকা সজল রাখার জন্য সীমিত আকারে ঋন বিতরণ,বিকাশ এবং নগদে সঞ্চয় ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তারা আরো বলেন, আমরা কচুয়া অফিসের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ এমনকি বাংলাদেশের প্রত্যেকটা অফিসের কর্মচারী তাদের যার যার অবস্থান থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেনতার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বিশে^র এই দূর্যোগপূর্ন মহামারী ক্লান্তিলগ্নে দেশের মানুষের পাশে থাকতে পেরে আমরা ব্র্যাকের কর্মী হিসেবে নিজেদেরকে গর্বিত মনে করি।