মোঃ ইমান হোসাইন,চাঁদপুর ব্যাুরো প্রধানঃ এদিকে কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস, অন্য দিকে এনজিও গুলোর তারনা এর কোনটা থেকে যেন আর রক্ষা পাচ্ছেনা চাঁদপুর বাসী।
দেশের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কয়েকটি জেলার মধ্যে চাদঁপুরের নাম আসছে। করোনার আক্রান্তের হার কমানো কিংবা এর থেকে জনসাধারণ কে নিরাপদ রাখার জন্য গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিয়মনীতি অনুযায়ী আক্রান্তের হার বিবেচনা করে চাঁদপুর জেলাকে “রেড জোন” হিসেবে ঘোষনা করা হয়। এবং চাঁদপুর জেলা পুলিশ তাদের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে চাঁদপুর বাসি কে ভাইরাস সংক্রমণের হাত থেকে মুক্ত রাখতে অপ্রান চেষ্টা করেচলছে। এই জেলায় সাধারন ছুটি বলবৎ থাকায় সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ে যায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলো।
এনজিও গুলো থেকে ঋন নিয়ে বিশাল সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন মধ্যে বৃত্ত ও নিম্ন মধ্যমের মানুষ গুলো, এ জেলার অনেক প্রবাসি আছেন নিরবে আছেন ,বলার মতো নয়, আনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন এমন পরিবার আছে।
বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ গুলো চরম অসুবিধার মধ্যে রয়েছে। কাজ কর্ম বন্ধ থাকার কারনে সরকারী ও বেসরকারি ভাবে অনেক খাদ্য সহায়তা পেলেও নিত্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয় করতে হিমসিম খাচ্ছেন।
এর মাঝে মরার উপর খাঁড়ার ঘাঁ হিসেবে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন NGO গুলো।এ সময় এনজিও গুলো কিস্তি আদায়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার গত ২৯/০৫/২০২০ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন এন.জি.ও গুলোকে কিস্তি আদায় বন্ধের নির্দেশ দিলেও এর তারিখের পর থেকে শুরু করেছে এনজিওর তৎপরতা । উক্ত তারিখ অতিবাহিত হওয়ায় এন.জি.ও গুলো কিস্তি আদায় শুরু করে।
কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরো বৃদ্ধি পাওয়ায় কারনে এ জেলায় সাধারন ছুটি ঘোষণা করার হয়। এ কারনে মানুষ কর্মহীন অববস্থায় পড়ে এবং তাদের পক্ষে এ মূহুর্তে কোনভাবেই কিস্তি প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা।
এদিকে প্রবাসিরা বিদেশে কর্মহীন অবস্থায় থাকায় তাদের স্বজনদের জন্য কোন টাকা পাঠাতে পারছেনা।
রেমিট্যান্স যোদ্ধার পরিবারের কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে যোগাযোগ করে যানা যায় তারা যেখানে দৈনন্দিন মৌলিক চাহিদা পূরন করতেই হিমসিম খাচ্ছেন এ মুহুর্তে কিভাবে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবে।
একাধিক এন. জি. ও অফিসে যোগাযোগ করলে নিয়োজিত কর্মকর্তাগন দৈনিক বাংলার অধিকার কে জানান যে,আমরা আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক কিস্তি আদায়ের কার্যক্রম পরিচালনা করতে মাঠে এসে কাজ করছি। কিন্তু আমরা কাউকে জোর করে কিস্তি পরিশোধে করতে আসিনি কাউকে চাপ দেইনি তিনি আর জানান যে দিতে পারবে দিবে না দিতে পারলে চাপ নেই। আজ বাকিলায় একজন এনজিও কর্মীর সাথে কথা বললে তিনি একথা জানান।
ঋন গৃহীত অনেকেই অভিযোগ করেন তাদের ফোন করে তাদের কিস্তি আদায় করছেন।
এরিয়া ম্যানেজার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক বাংলার অধিকাকে জানান ঋন গৃহীত কোন ব্যাওি কে ফোন করেছে এবিষয়ে আমি জানিনা, যদি কেউ ভুলে করে থাকে আমারা জানানেই।
পরবর্তী সময়ে আমারা কাউকে কিস্তির জন্য ফোন ও চাপ করবনা।
এমতাবস্থায় ভুক্তভোগী আমজনতার কথা সূবিবেচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আগ পর্যন্ত এই করোনার আপদকালীন সময়ে আক্রান্ত প্রায় পুরো জেলার সকল এন.জি.ও সংস্থাগুলো যেন কিস্তি আদায় করা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকে, কিংবা ভুক্তভোগীরা যেন কিস্তি প্রদান না আসে এর থেকে উত্তরন পায় সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য মাননীয় জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর এবং মাননীয় পুলিশ সুপার, চাঁদপুর মহোদয় গনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।