মো. আবু নাঈম, পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ে যৌতুকের দাবী পূরণ করতে না পারায় পাষণ্ড স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে চিকিসাধীন ছিলেন মাবিয়া সুলতানা হেপি নামের এক গৃহবধূ। নির্যাতিতা গৃহবধুর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আশ্রমপাড়া এলাকার মৃত- গোলাম মোস্তফার মেয়ে মাবিয়া সুলতানা হ্যাপির সাথে ১২ বছর পুর্বে পঞ্চগড় পৌর শহরের ইসলামবাগ এলাকার মৃত- খলিলুর রহমানের ছেলে আজিম হোসেন-এর বিয়ে হয়। তাদের একটি ১০ বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। বিয়েতে আজিম হোসেনের পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী যৌতুকসহ বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। এরপরও তার স্বামী আরোও যৌতুক দাবী করেন। যৌতুকের টাকা ভাইদের কাছ থেকে আনতে না পারায় হ্যাপির উপর প্রতিনিয়ত নির্যাতন শুরু করেন আজিম ও তার পরিবারেরর লোকজন। এদিকে গত ১৭ মে হ্যাপির ভাই সাদিকুল ইসলাম লেলিন বাদী হয়ে আজিম হোসেনকে প্রধান করে তার ভাই রাজিউর রহমান রাজু ও বোন লিপি আক্তারকে আসামী করে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবিতে দীর্ঘদিন থেকেই হ্যাপির উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলো তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। সম্প্রতি মারপিটের এক পর্যায়ে হ্যাপির মুখে উপরের সাঁড়ির একটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে তারা। যৌতুকের টাকার জন্য মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হয় তাকে। সাদিকুল ইসলাম লেলিন বলেন, খবর পেয়ে গত ৮ই মে আমি ঘটনাস্থলে আসি। আমাকে দেখেই আসামীরা যৌতুকের টাকা আনছি কিনা জিজ্ঞেস করে। আমি এর প্রতিবাদ করলে আমাকেও তারা মারধর করে। আমার বোন এগিয়ে আসলে তাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে তার গলা চেপে ধরে। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় আমরা পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি। এখন মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরোও বলেন, নির্যাতনের এক পর্যায়ে আমার বোনের একটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। এখন এটি মিথ্যা প্রমাণ করার ষরযন্ত্র করা হচ্ছে। পঞ্চগড় সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জামাল হোসেন জানান, মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসলে সঠিক পর্যালোচনা করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হবে।