নেত্রকোনা প্রতিনিধি : নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কাকুনিকোনা গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লাঞ্ছনা সইতে না পেরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে ওই স্কুলছাত্রী। স্কুলছাত্রীর বাবা জানান, আটপাড়া উপজেলার স্বরমুশিয়া ইউনিয়নের বাসাটী গ্রামের হারেছ ভুঞার ছেলে আমিরুল তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। আমিরুল ও তার সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। পরে তার মেয়েকে ঢেকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে অপমান অপদস্ত করে। এই লাঞ্ছনা সইতে না পেরে রাগে-ক্ষোভে সে ওইখান থেকে বাড়ি চলে আসে। এর পর ওইদিন বিকেলেই মেয়েটি সবার অগোচরে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়।পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায়তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার ঘর থেকে কীটনাশকের বোতল পাওয়া যায়। সদর হাসপালে আমার মেয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আমি নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করি। তার পর থেকে গ্রামের কিছু অসাধু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আমাকে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আমাকে অভিযোগ তুলে নেয়ার কথা বলছে। এ ঘটনার পর হাসপাতালে ওই স্কুল ছাত্রীর সাথে কথা বললে সে জানায়, তিন বছর যাবত আমিরুলের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। আমি এস এসসি পাস করার পর আমাকে বিয়ে করবে বলে আমাদের বাড়ির পেছনে ও কেন্দুুুয়া জল্লী পার্কে নিয়ে জোর করে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) আমিরুলের অন্য জায়গায় বিয়ের কথা শুনে আমি তাকে ফোনে বিয়ের জন্য চাপ দিলে আমিরুল আমাকে দেখা করার কথা বলে ঢেকে নিয়ে আমাদের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমান ও লাঞ্চিত করে। এই অপমান সইতে না পেরে আমি বাড়ি ফিরে আত্মহত্যার আশ্রয় নেই। সদর উপজেলার মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ ফকির দৈনিক বাংলার অধিকারকে জানান, আমার ইউনিয়নের কাকুনিকোনা গ্রামের মেয়ের বাবা হরমুজ আলী আমার কাছে এসে বলে বাসাটী গ্রামের হারেছ ভুঞার ছেলে আমিরুল তার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরক সম্পর্ক করে। পরে আমি এ বিষয়ে মেয়ের বাবাকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেই। এবিষয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার এস আই আব্দুল জলিল বলেন, আমি সরেজমিনে তদন্ত করেছি। আমি মেয়ের বাবাকে বলেছি থানায় আসার জন্য। এখন মেয়ের বাবা থানায় আসলে মামলা আমলে নেওয়া হবে।