মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ যে সময় করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই আতংকিত ঠিক সেই সময় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুব আলম এর বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের সাথে অসদাচারন ও স্বেচ্ছাচারিতা সহ ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে অনাস্থা অভিযোগ দিয়েছেন ১১ জন ইউপি সদস্য। মঙ্গলবার ৯ জুন দুপুরে উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পরিষদের ১১ জন সদস্য লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, ৬নং পীরগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুব আলম দায়িত্ব গ্রহণ করার পর হতে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকারি বিধিমালা তোয়াক্কা না করে স্বৈরতান্ত্রিকভাবে পরিষদ পরিচালনা করছেন। এমনকি অবহেলিত জনগনের জন্য সরকারি যে বাজেট বরাদ্দ আসে তা বিতরণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউ’পি সদস্য- সদস্যাগণের মতামত না নিয়ে তার নিয়োজিত নিজস্ব লোক দ্বারা তালিকা প্রণয়ন ও তা বন্টন করেন। এছাড়াও অভিযোগে বলা হয়, দূর্যোগপূর্ণ অবস্থায় করোনা ভাইরানের ত্রাণ ইউপি সদস্যদরে না জানিয়ে নিজস্ব লোকদের দিয়ে তালিকা প্রনয়ন ও তা বন্টন করেছেন। চলতি মৌসুমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে গম ও ধান ক্রয়ে কৃষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইউনিয়ন পরিষদে যে লটারী সম্পন্ন হয়েছে সেখানেও ইউ’পি সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য অবগত করেনি তিনি। এতে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়টি দেশ স্বাধীনের পর শহরের মুল জায়গায় ছিল। সেটি তিনি হঠকারী করে নিজের সুবিধার্থে রাতের আধারে তার গ্রামের একজনের বাড়ী ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী কার্যালয় তৈরী করেন। সেখানে কিছুদিন কার্যালয়টি পরিচালনা করার পর সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী জায়গায় তিনি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় তৈরী করেছেন। কার্যালয় তৈরীর করতে তিনি কাবিখা, কাবিটা, এলজিএসপি ও টিআর সহ ৪০ দিনের কর্মসূচীর অর্থ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় তৈরী করেছেন। পরে ইউ’পি সদস্যরা জানতে পারে সেই জমি তিনি পরিবারের লোকজনের নামে কিনেছেন। এছাড়ও অকারণে ১নং ওয়ার্ডের সদস্য দিনেশ চন্দ্রের সরকার প্রদত্ত সম্মানী ভাতা তিনি বন্ধ করে রেখেছেন। অন্যায় ও দূর্নীতির এমন কর্মকান্ডে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়া পর্যন্ত ইউ’পি কার্যালয়ে সদস্যদের উপস্থিতি ও অন্যান্য সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইউ’পি সদস্যরা। উল্লেখ্য যে, এ নিয়ে পরিষদের সদস্যরা এর আগে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তৎকালিন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের মধ্যস্ততায় সদস্যদের আর অশালিন আচরণ করবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়ে মিমাংসা করেন। এ বিষয়ে ইউ’পি চেয়ারম্যান মো. মাহাবুব আলমের কাছে মুঠোফানে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন অভিযোগ দিছে ভাই হইছে বলে তিনি ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।