লেখকঃ ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, লেখক ও সংবাদকর্মী: মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম, আমি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে যতটুকু দেখেছি, তিনি এই উপজেলায় যোগদানের পর থেকে মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে উপকূলের নানান সমস্যাসহ বৈশ্বিক মহামারী বিপর্যয় মোকাবিলায় করছেন নির্ভয়ে, নির্বিঘ্নে, করে যাচ্ছেন অক্লান্ত পরিশ্রম হেঁটে চলছেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল উপকূলীয় দ্বীপ মহেশখালী নামের এই দ্বীপের মেঠোপথে, উঁচু উঁচু পর্বতচূড়া কিংবা কখনো কখনো হাঁটুজল পানিতে। দ্বীপের ৪ লক্ষাধিক মানুষের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য হয়তো তাঁর এই পথচলা। তবে আমি একজন সংবাদকর্মী হিসেবে সংবাদ সংগ্রের কাজে আমাকেও নানান দিক বেদিক ঘুরাঘুরি করতে হয়, এর সুবাদে যতটুকু বুঝতে পারলাম দ্বীপের মানুষরাও অসন্তোষ নয় এমন একজন মানবিক ইউএনও’র মানবসেবা পেয়ে। এই কার্যক্রমের জন্য তিনি দ্বীপবাসী থেকে পেয়েছেন ঈর্ষনীয় খ্যাতি, প্রতিনিয়নতই সংবাদপত্রের পাতায় বা অনলাইনের জগতে ভাসতে থাকে প্রশংসার জোয়ার, কে জানে হয়তো দ্বীপবাসী সর্বোচ্চ সেবা পাওয়ার কারণেই জামিরুল ইসলাম’কে আখ্যা দিয়েছেন একজন মানবিক ইউএনও হিসেবে। এরমাঝে তিনি একজন সংগ্রামী মানবসেবক হিসেবে কাজ করছেন, করে যাচ্ছেন বা করেও যাবেন। তাঁর এই কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্যও কিছু চক্রও পিছনেই লেগে আছে, এরপরও থেমে নেই তার এই পথচলা। একদিন এক আলাপচারিতায় ইউএনও মহোদয়কে প্রশ্ন করলাম দ্বীপবাসী তো আপনাকে মানবিক ইউএনও আখ্যা দিয়েছেন। এটি নিয়ে আপনি কি বলছেন? উত্তরে শুধু বলছে আমি দ্বীপবাসীর পাশে থাকতে পেরেছি এটাই আমার বড় পাওনা। সর্বোপরি যেটা বলবো সেটা হলো আমি একজন সংবাদকর্মী হয়েও সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোন থেকে নয় একজন সচেতন নাগরিকের দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে চাই শ্রদ্ধেয় ইউএনও মহোদয়ের সাথে আমার তেমন কথা হয়না, নিউজের কাজে ফোন করলে তখন নিউজের বিষয় নিয়েই কথা শেষ করা হয়। এরমধ্যেই যতবারই দেখা বা ফোন করা হয়েছে ততবারই ইউএনও মহোদয়কে কোন না কোন কাজে ব্যস্ত দেখতাম, দেখতাম একজন ইউএনও’র ভেতর মানবসেবা করার প্রবল ইচ্ছে! তাই দ্বীপবাসীর সাথে আমিও একমত না হয়ে পারলাম না। প্রিয় বন্ধুরা এই লেখাটি কারো সাফাই গাওয়া কিংবা কাউকে হিরো বানানোর জন্য নয়, ভালো’র প্রশংসা করা মাত্র।,