সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
শিরোনাম
ট্র্যাব সম্মাননা পেলেন অপর্ণা রানী রাজবংশী ফেন্সি স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টসের নতুন আউটলেট উদ্বোধন নবীনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ চার ডাকাত আটক সিরাজদিখানে বিক্রমপুর নামকরণে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় আমিরাতে বোয়ালখালী চরণদ্বীপ পাঠানপাড়া প্রবাসীদের জনকল্যাণমূলক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ । ষোলঘরে  জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত  শ্রীনগরে তন্তরে ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ-চায়না ক্লাব রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির সাথে উপজেলা প্রশাসনের মতবিনিময় সভা কুলিয়ারচরে শিশুদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশসহ ৩জন আহত ঠাকুরগাঁওয়ে সাফ জয়ী তিন নারী ফুটবলারকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সংবর্ধনা ভয়াল সিনেমাটি সবার জন্য উন্মুক্ত সিরাজদিখানে নবাগত সহকারী পুলিশ সুপারের সাথে ঝিকুট ফাউন্ডেশনের মতবিনিময় জনগণের অধিকার ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা হবে- ছাগলনাইয়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম রাউজান প্রেসক্লাবের নব-নির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত
বিজ্ঞপ্তি :
বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রানালয়ে আবেদনকৃত।

কচুয়ায় চা বিক্রেতার ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েও ভালো কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত – দৈনিক বাংলার অধিকার

অধিকার ডেক্স / ৪১৬ সংবাদটি পড়েছেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ৫ জুন, ২০২০, ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

মো: মাসুদ রানা,কচুয়া:
চাঁদপুরের কচুয়ায় দারিদ্রতাকে দমাতে পারেনি মহিউদ্দিনকে। কচুয়া উপজেলার পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ-৫ পায় সে। দরিদ্র হলেও জীবন যুদ্ধে থেমে যায়নি মহিউদ্দিন। এর আগে ২০১৮ সালে একই বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে এ গ্রেড পায় মহিউদ্দিন।
জানা গেছে, শুধু মহিউদ্দিন নয়,তার বাবা পেশায় একজন চা বিক্রেতা। এক পরিবারে চারজন সদস্য হলেও ছেলের এমন সাফল্যে এলাকার সবাই খুশি।
পরিবার ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেতে হবে- এটাই ছিল মহিউদ্দিনের ইচ্ছা আর স্বপ্ন। স্বপ্নপূরণে কোনো বাধাই থামাতে পারেনি তাকে। অসম্ভবকে সম্ভব করে মেধার সাক্ষর রেখে এবার এসএসসিতে জিপিএ-৫ পায় সে। মহিউদ্দিন কচুয়া উপজেলার পালাখাল গ্রামের দক্ষিন পাড়া মো. আব্দুল হালিমের ছেলে। আব্দুল হালিম একজন চা বিক্রেতা। তার মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্যতায় ভুগছেন।
মহিউদ্দিনের মা নয়ন বেগম বলেন, মহিউদ্দিন জিপিএ-৫ পেয়েছে। এ নিয়ে আমরা খুশি। দারিদ্রতার সাথে ছেলেটি সংগ্রাম করে এতদূর এসেছে। তবে ছেলের ফলাফলে খুশি হলেও দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কারণ ছেলের স্বপ্নপূরণ করতে হলে ভালো কলেজে ভর্তি করতে হবে। কিন্তু তাকে ভালো কলেজে ভর্তি করার সামর্থ্য নেই আমাদের। এজন্য তার কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত।
হতাশা নিয়ে নয়ন বেগম আরো বলেন, একটি ভালো কলেজে দিতে গেলে সেখানে তার অনেক টাকা প্রয়োজন। এ কারণে মহিউদ্দিনকে নিয়ে ভর্তির অনিশ্চিতায় ভুগছি। কীভাবে ছেলেকে লেখাপড়া করাব তা ভেবে পাই না।
মহিউদ্দিনের বাবা আব্দুল হালিম চা বিক্রেতা । চা বিক্রি করে যা উপার্জন হয় তাই দিয়ে সংসার চলে। এরপরও কষ্ট করে ছেলের লেখাপড়া চালিয়ে নেন।
মহিউদ্দিনের বাবা আব্দুল হালিম আরো বলেন, ছেলের স্বপ্ন ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। তবে আর্থিক ভাবে দূর্বলতা হওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার হওয়া তার পক্ষে অসম্ভব।
পালাখাল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো: মিজানুর রহমান বলেন, দরিদ্র মেধাবী মহিউদ্দিন স্কুলে থাকা অবস্থায় আমরা অনেক সহযোগিতা করেছি। আমরা মহিউদ্দিনের সাফল্য কামনা করি। মহিউদ্দিনের স্বপ্নপূরণ করতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহŸান জানান তিনি।


এ বিভাগের আরও সংবাদ

আর্কাইভ

এক ক্লিকে বিভাগের খবর
Don`t copy text!
Don`t copy text!