ডেস্ক রিপোর্ট:
বাংলাদেশে চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে চাই সাংবাদিকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা । ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন গুজব সংবাদ মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছে তখন সাংবাদিকরা নিজের জীবন বাজি রেখে করোনা ভাইরাস রোগ সচেতনতার পাশাপাশি সার্বিক ঘটনাবলী সন্ধান করে সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করছেন যা নির্ভরযোগ্য, যাচাইকৃত এবং প্রমাণ-ভিত্তিক । সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় আড়াই শত সাংবাদিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন । তন্মধ্যে কমপক্ষে ৩জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন । এটি একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। এটি সাংবাদিকদের জীবন ও মানসিক সুস্বাস্থ্যই কেবল ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে তা নয়, তাদের পরিবার ও সহকর্মীদেরও বিপন্ন করছে। বিশেষজ্ঞতেদর মতে, সাংবাদিকদের উপর শারীরিক সুরক্ষা ঝুঁকি এবং মানসিক চাপ জনসাধারণের কাছে মহামারী সম্পর্কে সঠিক তথ্য সরবরাহের তাদের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করে। সাংবাদিকরা দিন রাত করোনা ভাইরাস বিষয়ে নির্ভরযোগ্য, যাচাইকৃত এবং প্রমাণ-ভিত্তিক তথ্য সন্ধান করছেন যাতে তারা নিজের এবং তাদের প্রিয়জনদের করোন ভাইরাস বিস্তার রোধ করে সুরক্ষা হতে পারে । করোনাভাইরাস সম্পর্কিত গুজব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্বাসযোগ্য হওয়ায় তা আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বর্তমান মহামারীতে তথ্যের মান জীবন ও মৃত্যুর বিষয় হতে পারে। এর অর্থ হল স্বাধীন ও বিশ্বাসযোগ্যতার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদেও ভূমিকা আগের চেয়ে আরো বেড়েছে । অপ্রিয় হলেও সত্য যে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সংবাদমাধ্যমগুলি অভূতপূর্ব আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে সাংবাদিকদের কাজের চাপ বাড়ার পাশাপাশি প্রচ- সংবেদনশীল চাপও বেড়েছে । মহামারী চলাকালীন সময়ে সন্মুখযোদ্ধা হিসাকে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখলেও সুরক্ষা ও সন্মানিভাতা যোগ হয়নি তাদের মাঝে । প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম সরবরাহ , করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে অতিরিক্ত বিলম্ব ছাড়াই পরীক্ষার ফলাফল সরবরাহ , মহামারী চলাকালীন সাংবাদিকদের চাকরি থেকে অব্যাহতি থেকে বিরত থাকা, করোনভাইরাস সুরক্ষা নীতি বিকাশ করা, সাংবাদিকদের এবং করোনায় মৃত সাংবাদিকদের পরিবারগুলির সহায়তায় সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসতে হবে । সাংবাদিকদের শারীরিক, ডিজিটাল এবং মানসিক সুরক্ষার জন্য হুমকির বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সহায়তা করার জন্য প্রতিক্রিয় প্রক্রিয় এবং সহায়তা সিস্টেমগুলি বিকশিত করতে হবে । লেখক – মোঃ খায়রুল আলম রফিক সভাপতি -বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেক কেন্দ্রীয় পরিষদ।