সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ শনিবার ৩০ মে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতেে গভীর শ্রদ্ধান্জলী জানিয়েছেন ছাগলনাইয়া পৌরসভাধীন পূর্ব বাঁশপাড়ার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট সমাজসেবক, দানবীর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ছাগলনাইয়া উপজেলা শাখার যুবদল’র সম্ভাব্য সভাপতি পদপ্রার্থী হাফেজ মোঃ সোহরাব হোসেন। ১৯৮১ সালের এই দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। সেই থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিবসটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে। প্রতিবছরই দিবসটি উপলক্ষে তাঁর মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পন, ফাতেহা পাঠ, দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, থাকে কয়েকদিন ব্যাপী কর্মসূচি। এতে জিয়াউর রহমানের কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আলোচনা করেন শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, শহীদ জিয়ার সহচরসহ দলের সিনিয়র নেতারা। তবে এবার এই দিবসটি এসেছে একটি ভিন্ন পেক্ষাপটে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এখন প্রাণঘাতি বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে এবছরে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও এসেছে পরিবর্তন। অন্যান্য বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হলেও এবার কোনো সমাবেশ বা বড় পরিসরে অনুষ্ঠান থাকছে না। অনলাইনে চলবে ভার্চুয়াল আলোচনা।
বেগম জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বাসভবনে নামাজ আদায় ও দোয়া-মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
জিয়াউর রহমান তার ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রম প্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলী এদেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।