সেপাল নাথ, ছাগলনাইয়া (ফেনী) প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক জিয়াউর রহমানের ৩৯তম শাহাদাত বার্ষিকীতেে গভীর শ্রদ্ধান্জলী জানিয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছাগলনাইয়া উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবক, শ্রমিক দল’র উদ্যোগে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল’র আয়োজন করেন শনিবার (৩০ মে) দুপুর ২ টায় ছাগলনাইয়া জমদ্দার বাজারের উত্তর পার্শ্বে বায়তুল জামে মসজিদের ইমাম মোঃ রাজু আহমদ’র পরিচালানায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান’র ৩৯ তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে স্মৃতিচারন করে ও জান্নাতুল ফেরদাউস বেহেস্ত নসিব করে দোয়া ও মিলাদ মহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপি’র আহব্বায়ক ও সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব নুর আহম্মদ মজুমদার, সদস্য সচিব মোঃ আলমগীর বিএ, উপজেলা বিএনপি যুগ্ন আহব্বায়ক কপিল উদ্দিন সরকার, পৌর বিএনপি আহব্বায়ক মোঃ ইউসুপ মজুমদার, সদস্য সচিব আবদুল লতিফ, যুগ্ন আহব্বায়ক এনামুল হক শাহীন, আবুল খায়ের বাবুল, বাবলু মজুমদার, পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা যুবদল’র সভাপতি প্রার্থী কাজী জসিম উদ্দিন, উপজেলা যুবদল নেতা আবদুল মোমিন, মোঃ শাহিন, শহীদ উল্ল্যাহ মুন্সী আবদুল মতিন, পৌর যুবদল নেতা মোঃ জয়নাল আবেদীন, মোঃ আলমগীর হোসেন, ইকবাল হোসেন সহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
এসময় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত বক্তারা জিয়াউর রহমান’র ৩৯ তম শাহদাত বার্ষিকী উপলক্ষে উনার স্মৃতিচারন করতে গিয়ে বলেন, ১৯৮১ সালের এই দিবাগত রাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে একদল বিপথগামী সৈনিকের হাতে তিনি শাহাদাত বরণ করেন। সেই থেকেই তার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি দিবসটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে। প্রতিবছরই দিবসটি উপলক্ষে তাঁর মাজারে পুষ্পার্ঘ অর্পন, ফাতেহা পাঠ, দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা, থাকে কয়েকদিন ব্যাপী কর্মসূচি। বক্তারা আরো বলেন জিয়াউর রহমানের কর্মময় বর্ণাঢ্য জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়। তবে এবার এই দিবসটি এসেছে একটি ভিন্ন পেক্ষাপটে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে এখন প্রাণঘাতি বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে অনুষ্ঠানটির পরিধি ছোট করতে হয়েছে। ফলে এবছরে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানেও এসেছে পরিবর্তন। অন্যান্য বছর বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শাহাদাতবার্ষিকী পালন করা হলেও এবার কোনো সমাবেশ বা বড় পরিসরে অনুষ্ঠান থাকছে না। বেগম জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় বাসভবনে নামাজ আদায় ও দোয়া-মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
উপস্থিত বক্তারা আরো বলেন, জিয়াউর রহমান তার ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রম প্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলী এদেশের গণমানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগবাড়িতে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মনসুর রহমান কলকাতায় একজন কেমিস্ট হিসেবে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত ছিলেন।