মোঃ জুয়েল রানা  ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ

ইব্রাহিম খলিল বলেন প্রিয় দেশবাসী, আপনারা কেমন আছেন, আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ার বরকতে ভাল আছি।বর্তমান বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাংলাদেশে ভয়াবহ মহামারি করোনা রোগের আক্রমণ ও লক্ষ্মণ পরিবেশের মাধ্যমে দেশের মানুষের অবস্থা তেমন ভাল দেখাচ্ছে না।সবাই নিজে ও পরিবারের সকল সদস্যাদের নিয়ে চিন্তার মধ্যে দিন পার করছে। আপনাদের এই ক্রান্তিলগ্নে আমি আপনাদের পাশ থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারিনি বলে দুঃখ প্রকাশ করছি।আপনারা আমার পরিবার,প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজন,আমার উপর আপনাদের বিভিন্ন রকম অধিকার আছে,যা আমি সঠিক ভাবে পালন করতে না পারা কারনে আমাকে আপনাদের পরিবারের সদস্য মনে করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরোধ করছি। দৈনিক বাংলার অধিকার প্রতিনিধি ইব্রাহিম পন্ডিতের জীবন প্রনালী তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে জানতে পারেন,মোঃইব্রাহিম খলিল ৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ চাঁদপুর জেলা শাহরাস্তি উপজেলা পাক বিজয়পুর পন্ডিত বাড়ি সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে পিতা মোঃআবুল কালাম ও মাতা হালিমা বেগমের ঘরে জন্ম গ্রহন করেন।তাদের পাঁচ সন্তানের মধ্যে ইব্রাহিম খলিল ছিলেন দ্বিতীয় ও ছেলেদের মধ্যে বড় সন্তান। শৈশব কাল নিজ বাড়ি ফিটার স্কুলে দ্বিতীয় ও বিজয়পুর সরঃপ্রাঃবিদ্যাঃ ৪র্থ শ্রেনী উত্তীর্ণ হওয়ার পর, পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটানোর জন্য বাবার সাথে সহযোগীতা করতে কৃষি কাজ শুরু করেন।পরর্বতীতে নিজের ইচ্ছায় কাজের পাশাপাশি উনকিলা সঃপ্রাঃবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ৫র্ম শ্রেনি শেষ করে পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উপক্রম হয়,তখন তিনি ঢাকায় একটি চা দোকানে কিছু দিন কাজ করেন। কাজের পাশাপাশি নিজের মধ্যে পড়াশোনা ইচ্ছার প্রতি আগ্রহ দেখা দিলে চা দোকানের কাজ ছেড়ে নিজ গ্রাম বিজয়পুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ট শ্রেনী ভর্তি হয়ে বাবার কৃষি কাজে সহযোগিতা করেন। এবং পরর্বতীতে ৭র্ম শ্রেনী শেষ করে ইব্রাহিম খলিলের বাবার পক্ষে পরিবারের অন্যন সদস্যদের চাহিদা মিটানো সম্ভব্য না থাকার কারনে তার পড়াশোনা একবারে বন্ধ হয়ে যায়। ইব্রাহিম খলিল তখন দিশেহারা হয়ে নারায়ণগঞ্জ মদিনা ডাইং নামে এক কাপড়ের কারখানায় কাজ শুরু করেন। কয়েক মাস কাজ করার পর ইব্রাহিম খলিল পড়াশোনা থেকে নিজেকে সরাতে না ফেরে কারখানা কাজ ছেড়ে শাহরাস্তি বহুমুখী (সরকারি)উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে এস এস সি, পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর পরিবারের সিদ্ধান্ত হলো,সংসারে অন্যন সদস্যদের চাহিদা মেটাতে গিয়ে অভাবের কারনে পরিবারের বড় সন্তান হিসাবে তার আর পড়াশোনা করা ঠিক হবে না।পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেল। তখন ইব্রাহিম খলিল ঢাকা সাভার এনভয় গ্রুপ(এনভয় ডিজাইন লিঃ)সুইং সেকশনে অপারেটর হিসাবে কাজে যোগ দেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি যখন দেখলেন শিক্ষিত লোক গুলোকে আলাদাভাবে মূল্যয়ান করা হচ্ছে। তখন তিনি গার্মেন্স কাজ ছেড়ে দিয়ে বাড়ি চলে এসে গোপনে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলা, নুরুল আমিন মজুমদার ড্রিগ্রী কলেজে এইচ এস সি তে ভর্তি হন।প্রথম সেমিস্টার তিনি বাবার সাথে কৃষি কাজ করার কারনে কলেজে যেতে পারেন নি,দ্বিতীয় বর্ষে কলেজ শিক্ষকদের সহযোগিতায় এইচ এস সি,পরিক্ষা মানবিক বিভাগ থেকে কৃতকার্য সাথে উত্তীর্ণ হন। দিন যত যাচ্ছে পরিবারের অভাব ক্রমাগত বাড়ছে,ছেলের পড়াশোনা আগ্রহ দেখে তার বাবার তাকে পড়ার জন্য উৎসাহ দিলেন, বাবার উৎসাহ দেখে ইব্রাহিম খলিল চাঁদপুর সরকারি কলেজে প্রথম বর্ষ বাংলা ও দ্বিতীয় বর্ষ ইংরেজী বিষয় পাওয়ার পরেও পরিবারের অভাবের কারনে নিজে আর ইচ্ছাকৃত ভাবে ভর্তি হয়নি।পাশাপাশি চলছে বাবার সাথে কৃষি কাজের সহযোগিতা। তিনি নিজের মনকে শান্ত রাখার জন্য নিজ উপজেলায় অবস্থিত মেহার ড্রিগ্রী কলেজ (পার্স কোস) বি,এস,এস ভর্তি হয়ে ঢাকায় একটি রেষ্টুরেন্টের কাজ নিলেন।কাজের পাশাপাশি চলছে পড়াশোনা,নিজের পড়াশোনা পাশাপাশি চলছে নিজের আরো চার(০৪)জন ভাইবোনের পড়াশোনা।সে কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ড্রিগ্রী পাস করে জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে (এল,এল,বি)কোর্সে ভর্তি হয়ে আইনি বিষয়ে ড্রিগ্রী লাভ করেন।এর পাশে চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এম,এস,এস(রাষ্ট্র বিজ্ঞান) মার্ষ্টাস ড্রিগ্রী অর্জন করে পড়াশোনা সমাপ্তি করেন।তিনি বর্তমান অবিবাহিত। তিনি দিক্ষার এই সমাজ কে, ও ভালবাসায় তো কাদাঁয়, নামে দুটি বই লিখেছেন (এখন ও প্রকাশ হয়নি) ইব্রাহিম খলিল, তারা তিন ভাই ও দু বোনের মধ্যে, দু বোন ও এক ভাই স্নাতক ড্রিগ্রী(পার্স কোস) সম্পূর্ণ করেন। এবং ছোট ভাই মাদ্রাসা থেকে হেফজ বিভাগ শেষ করে নিজ এলাকায় ভোলদিঘী কামিল মাদ্রাসা থেকে আলিম বিভাগে পরিক্ষার্থী। ইব্রাহিম খলিল, লক্ষিপুর ময়ামতি টেকনিক্যাল টেনিং ইন্সটিটিউট থেকে ভূমি জরিপ কাজে প্রশিক্ষন দিয়ে বর্তমান ভূমি জরিপ কাজ ও চাঁদপুর জজকোর্টে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসাবে নিয়োজিত আছেন। তিনি সমাজের মানুষের জন্য বিভিন্ন রকম সামাজিক সংগঠনের রুপক ছিলেন,তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, শাহরাস্তি ন্যাশনাল সার্ভিস ফোরাম এর নির্বাচিত সভাপতি এবং বর্তমানে তিনি, মানব উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নামে সামাজিক সংগঠন করে সমাজের মধ্য আলোচনার ঝড় তুলেছেন। এই সংগঠনের মধ্যে দুটি প্রজেক্ট চীপ-কো-অডিনেটর টিম করেছেন।একটি হলো (ভিশন ১০০)এর মাধ্যমে সমাজের অসহায়,নিম্ন মধ্যবৃত্ত,রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও অবহেলিত মানুষদের কে ত্রান সামগ্রী উপহার দিয়ে থাকেন এবং দ্বিতীয় প্রজেক্ট(ডাক্তার যাবে আপনার বাড়ি /চিকিৎসা সেবা) এর মাধ্যম দেশের করোনা সহ যে কোন প্রাথমিক রোগের জন্য ফ্রী চিকিৎসা সেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরন করা হয়।এই প্রজেক্ট থেকে ১৫ চিকিৎসা ক্যাম্প করা হয়েছে। ২০১৯ সালে অনুষ্টিত চাঁদপুর জেলা শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশের সর্ব কনিষ্ঠ ভাইস-চেয়্যারম্যান প্রার্থী ইব্রাহিম খলিল অংশ গ্রহন করে নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি হয়েছেন। দৈনিক বাংলার অধিকার প্রতিনিধির এক স্বাক্ষাতকারে বলেন,আমি চাই,এই সমাজের মানুষ যেন কেউ অবহেলিত না হয়।একজনের সরলতা যেন কেউ দূরবলতা মনে না করে।সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।আমি যেন সমাজের মানুষের ভাল কাজ গুলির সাথে সম্পূরক থাকতে পারি।আমিন।