আল-আমিন,নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনায় দ্বিতীয় দিনের মত ধারাবাহিক ভেজাল ও নকল বিরুধী অভিযানে দেশী বিদেশি নামি-দামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মানহীন মেয়াদোত্তীর্ণ ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিপুল পরিমাণ নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়। আজ ১৯ মে (মঙ্গলবার) নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই ও বড় বাজার এলাকায় জেলা প্রশাসন নেত্রকোনার পক্ষে জনাব আব্দুল কাইয়ুম, নেজারত ও ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) নেত্রকোনা ও মোঃ ইমরানুজ্জামান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নেত্রকোনা জনস্বার্থে নকল বিরুধী এই ধারাবাহিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন আদালত পরিচালনাকালে জেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ আব্দুল হক উপস্থিত ছিলেন। এসময় পৌর শহরের বড়বাজার এলাকার মেসার্স মানিক চন্দ্র সাহা ষ্টোর এবং সাতপাই এলাকার গোডাউন হতে বিপুল পরিমান নকল প্রসাধনী জব্দ করা হয়। এসময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের দোষ স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এই সমস্ত মেয়াদোত্তীর্ণ মানহীন নকল পণ্য বিক্রিয় থেকে বিরত থাকার অঙ্গিকার করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে জ্ঞাতসারে নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারায় ১০ হাজার ২ শত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। অপরদিকে ক’রো’না পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ঘোষিত লকডাউন চলাকালে সাতপাই এলাকায় সরকারি আদেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করে ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগে এক প্রতিষ্ঠানকে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারায় সতর্কতামূলক ৫০০ টাকা জরিমানা সহ মোট ১০ হাজার ৭ শত টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। এর আগেও গতকাল ১৮ মে (সোমবার) পৌর শরের সাতপাই এলাকায় ভেজাল ও নকল বিরুধী অভিযান করে ২ টি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ মানহীন মেয়াদোত্তীর্ণ নকল প্রসাধনী জব্দ করেন এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে ভেজাল ও নকল প্রসাধনী বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ধারায় দুই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আদায় করেন।কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতিরিক্ত মুনাফা লাভের আশায় নকল মোড়কে নামে-বেনামে এসব রং ফর্সাকারী ক্রিম বাজারজাত করছে যা ত্বক ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। দেশের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে দেশী ও বিদেশী ব্যান্ডের প্রসাধনী ক্রয়ের সময় বিএসটিআইয়ের লোগো, আমদানিকারকের সিল (বিদেশী হলে), পন্যের ওজন, পরিমান, উপাদান, ব্যবহার বিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ নিশ্চিত হয়ে পণ্য ক্রয় করার পরামর্শ দেন।
জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন নেত্রকোনার নকল বিরোধী অভিযান অব্যাহতভাবে থাকবে বলে জানান, জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন।