মোঃ ইমান হোসাইন চাঁদপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশের প্রায় সকল জেলায় করোনার ছোয়া লেগেছে।হু হুম করে বৃদ্ধি পাচ্ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এই মিছিলে প্রথন কাতারে অবস্থান করছে করছে চাদপুর জেলা। গত ২৪ ঘন্টায় ১০১ জনের করোনা টেস্ট রিপোর্ট আসে এর মধ্যে ১২ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে এবং বাকী ৮৯ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। চাঁদপুর সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায় বুধবার দুপুর পর্যন্ত তাদের নিকট ১০১ টি রিপোর্ট আসে তারমধ্যে অন্তত ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে এবং বাকী ৮৯ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা বেগম পলিনের তথ্যমতে উক্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জনই চাঁদপুর পৌরসভার আওতাধীন এলাকার এবং ১ জন মতলব উত্তর থানার কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেবাকেন্দ্রের কম্পিউটার অপারেটরের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।এর আগে একই পরিষদের সচিব ও করোনায় আক্রমিত হয়েছে।ধারনা করা হচ্ছে সচিবের সংস্পর্শে আসার কারনে তার থেকে কম্পিউটার অপারেটর আক্রমিত হয়েছেন। চাঁদপুরের অপর ১১ জন চাঁদপুর পৌরসভার আওতাধীন এলাকার।এই ১১ জনের মধ্যে শহরের চিত্রলেখা মোড়ের ২জন,সিভিল সার্জন অফিসের কর্মচারী ১জন,সদর হসপিটালের স্টাফ কোয়ার্টারের ১জন,শহরের আদালত পাড়ার মা- মেয়ে ২জন,বড় স্টেশন ক্লাব রোডের ১জন,মিশন রোডের ১জন,বকুলতলা রোডের ১জন,মধ্য ইচলির ১জন,চাঁদপুর ট্রাপিক পুলিশের সদস্য ১জন,এর মধ্যে চাঁদপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একজন ল্যাবঅ্যাসিস্ট্যান্টের নামও রয়েছে। তিনি আরো জানান যে,যেভাবে পুরো চাঁদপুর শহরে করোনা হানা দিয়েছে এতে করে আমরা যদি সঠিকভাবে লকডাউন পালন না করি তাহলে খুব অচিরেই আমরা এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলা করতে হবে।এভাবে চলতে থাকলে পুরো শহরের মানুষ খুব অল্প সময়ে এর দ্বারা আক্রমিত হওয়ার আশু সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি সবাইকে সঠিকভাবে নিয়ম মেনে হোমকোয়ারান্টাইনে থাকার জন্য অনুরোধ করে।