সংগঠন পরিচালনার মূলনীতি: পরিচালনার মূলনীতির তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ধারা-১:
সদস্য পদ: সমাজের সৎ, আদর্শবান, চিন্তাশীল ও জনকল্যাণে নিবেদিত যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি এর সদস্য হতে পারবেন। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে স্তরে সদস্যপদের আবেদন করবেন, সেই স্তরের কমিটিই তাঁকে সদস্যপদ প্রদান করতে পারবে। যে কোনো প্রাথমিক সদস্য পরবর্তীতে যে কোনো স্তরের কমিটিতে পদ গ্রহণ করতে পারবেন। সাম্প্রদায়িক মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি সদস্য হতে পারবেন না। এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সদস্যগণকে নির্দিষ্ট হারে ফি জমা দিতে হবে। প্রকল্প অনুযায়ী নিজ সামর্থ অনুযায়ী অর্থ আদায়ের মাধ্যমে জনকল্যান কাজ সম্পাদন করা হবে। সংগঠনের অর্থের জোগানদাতা সদস্য ও জনসাধারণ। বিত্তশালীদের ও সেচ্চায় অর্থদানের অর্থায়নে চলবে।
ধারা-২:
সাংগঠনিক কাঠামো:
এর সাংগঠনিক কমিটি প্রবাসে থাকবে কমিটির কার্যক্রম।
কমিটি হবে সংগঠনের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক কাঠামো। সংগঠনের মৌলিক নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্তসমূহ এই কমিটিতে গৃহীত হবে। এই কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর।
ধারা-৩
কার্যনির্বাহী কমিটি: সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনাসহ সামগ্রীক কার্যনির্বাহের জন্য মূল উদ্যোগী ভূমিকা ও দায়-দায়িত্ব পালন করবে প্রবাসী কার্যনির্বাহী কমিটি। এই কমিটি সংগঠনের মৌলিক নীতিমালা সমূহের আলোকে সংগঠন পরিচালনার জন্য কর্মকৌশল ও কর্মসূচি নির্ধারণ করতে পারবে। ১ জন সভাপতি, ৫জন সহ-সভাপতি, ১ জন সাধারন সম্পাদক, ৩জন সহ- সাধারণ সম্পাদক, ২ জন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং প্রচার সম্পাদক দপ্তর সম্পাদক কোষাধ্যক্ষ ও৫ জন সম্পাদক ৫ জন সহ সম্পাদক ও১৬ জননির্বাহি সদস্য সমন্বয়ে সর্বমোট ৪১ সদস্য বিশিষ্ট হবে প্রবাসী কার্যনির্বাহী কমিটি। এই কমিটির মেয়াদ হবে ২ বছর।
ধারা-৩
সদস্যদের দায়-দায়িত্ব: সভাপতি, সংগঠন প্রধান এবং সম্পাদক, নির্বাহী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সহ-সভাপতি, সভাপতির অনুপস্থিতিতে এবং সহ-সম্পাদক, সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। কোষাধ্যক্ষ অর্থ সংক্রান্ত হিসাব ও নথিপত্র সংরক্ষণসহ তহবিল পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করবেন। সদস্যগণ সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সংশ্লিষ্ট সকলকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।
ধারা-৪
আন্তকমিটি সম্পর্ক: কমিটি একে অপরের সাথে অনানুষ্ঠানিক, সৌহার্দ্যমূলক এবং পারস্পরিক সহযোগিতার উদ্দেশ্যে কার্যকর আন্তঃসম্পর্ক সৃষ্টি করবে।
ধারা-৫
সদস্যপদ বাতিল/অব্যাহতি: কমিটি এর সাথে সঙ্গতি রেখে এবং স্থানীয় বাস্তবতার নিরিখে, যে কোনো ব্যক্তিকে সদস্য পদ প্রদান করতে পারবে এবং নীতি-আদর্শ রিরোধী কার্যকলাপের জন্য তাদের সদস্যপদ বাতিল করতে পারবে।
নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী যে কোনো সামাজিক বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহযোগী সংগঠন হিসাবে কাজ করতে পারবে।
ধারা-৬
তহবিল:স্বেচ্ছা অনুদান ও যে কোনো সহযোগী সংস্থা প্রদত্ত অনুদানের মাধ্যমে গঠিত হবে। এ ছাড়াও কার্যক্রমকে চলমান রাখার জন্য একটি ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা যেতে পারে।
ধারা-৭
আর্থিক ব্যবস্থাপনা: তহবিল পরিচালনার জন্য একটি বিকাশ একাউন্ট ও ব্যংক একাউন্ট থাকবে।
ধারা-৮
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও সংগঠন প্রতিষ্ঠাকারীদের পূর্ন মর্যদা নিয়ে সর্বত্র থাকবে।
ধারা-৯
নীতিমালা সংশোধন ও ব্যাখ্যা: প্রবাসী কমিটিতে আলোচনা ও অনুমোদনের মাধ্যমে এই নীতিমালা সংশোধন করা যেতে পারে। কোনো ধারা বা উপ-ধারা সম্পর্কে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হলে প্রবাসী কার্যনির্বাহী কমিটি তা প্রদান করবে।
ধারা – ১০
শিক্ষাঃ শিখার কোন বয়স নাই। আর নীতি, নৈতিকতা ও ধর্মীয় শিক্ষার মাধ্যমে সকল যায়গায় নমনীয়তা ও সচ্ছতা সম্ভব। কমিটির সবার মধ্যে নিয়মিত বই বা অনলাইন বই বন্টন, আত্মসমালোচনা, রুগির সাথে সাক্ষাৎ, একে অপরকে সৎ উপদেশ দেয়ার নিতি, ইত্যাদি….. ।