আকাশ সরকার,রাজশাহী ব্যুরোঃ
করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চাপ কমাতে সরকারি সিদ্ধান্তে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ পর্যন্ত দুই দফায় ৩৮ জন জন কয়েদি মুক্তি পেয়েছেন। প্রথম দফায় শর্ত সাপেক্ষে নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান ৩৩ জন। তারা গত ৩ মে মুক্তি নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ২য় দফায় ৬৫ জনের মুক্তির আদেশ আসে। ৬৫ জনের মধ্যে জরিমানা দিয়ে ৫ জন কারাগার থেকে মুক্তি পান। বাকি ৬০ জনের শর্ত ও জরিমানা পরিশোধ না হওয়ায় তারা মুক্তি পাননি। শর্ত পূরণ হলেই তারাও মুক্তি পাবে। তৃতীয় দফায়ও রাজশাহী কারাগারে থাকা কিছু কয়েদি মুক্তি পাবেন। তবে তৃতীয় দফার আদেশ এখনো কারাগারে আসেনি।
আদেশ আসলেই তাদের মুক্তির ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু করবেন কর্তৃপক্ষ। তবে যাদের মুক্তির আদেশ এসেছে কিন্ত শর্ত পূরণ হয়নি সেসব কয়েদিদের এখনো কারাগারেই থাকতে হবে। এদের মুক্তি পেতে সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ। আদালতে নির্ধারিত জরিমানা দিয়ে শর্ত পূরণ করলে মুক্তিতে কোন বাধা নেই।
এর আগে গত ২ ও ৩ মে অর্থদণ্ড পরিশোধ করে প্রথম দফার ৩৩ জন কয়েদি মুক্তি পান। এসব বন্দিদের স্বজনরা টাকা পরিশোধ করে আসা মাত্রই ছেড়ে দেয়া হয়। আর দ্বিতীয় দফার ৬৫ জনের মধ্যে ৫ জন মুক্তি পেয়েছেন। এ নিয়ে মোট আজ সোমবার পর্যন্ত ৩৮ জন মুক্তি পেয়েছেন। ৩৮ জনের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ ১ জন মহিলা। যাদের নামে মামলা আছে তাদের মামলায় জামিন নিতে হবে। এ ছাড়া তারা বন্দি থাকবেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার রোধে কারাগারগুলোতে ভিড় কমাতে সরকার লঘু অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। যার প্রেক্ষিতে আমাদের কাছ থেকে কারা অধিদপ্তর এ রকম বন্দিদের তালিকা কিছুদিন আগে নিয়েছিল। প্রথম দফায় ৩৩ জন কয়েদিকে ছেড়ে দেয়ার জন্য দাপ্তরিক আদেশ পেয়েই প্রয়োজনীয়
ব্যবস্থাগ্রহণ করি। যাদের কারাদণ্ডের মেয়াদ এক বছর কিন্তু ছয়মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাজা মওকুফ করা হয়েছে। যে মামলায় সাজা হয়েছিল সে মামলায় এসব বন্দিদের আর কারাভোগ করা লাগবে না। কারণ সেই মামলার সাজা একেবারেই মওকুফ করেছেন সরকার। তবে এসব বন্দিদের জরিমানা আরোপিত থাকলে সেটা পরিশোধ না করা পর্যন্ত মুক্তি পাবেনা। প্রথম দফায় ৩৩ জন ও দ্বিতীয় দফার ৬৫ জনের মধ্যে সোমবার পর্যন্ত ৫ জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। বাকি কয়েদিদের অঅর্থদণ্ড পরিশোধ না করায় তাদের মুক্তি দেয়া সম্ভব হয়নি। অনেকের নামে মামলা আছে সেই মামলায় তাদের জামিন নিতে হবে। অর্থদণ্ড থাকলে পরিশোধ করতে হবে। বাকিদের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে সময় লাগতে পারে। তৃতীয় দফায়ও কিছু কয়েদি মুক্তি পাবে তবে তাদের আদেশ ও তালিকা আসেনি। আসলে প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে।