ঢাকাসোমবার , ৪ মে ২০২০
  1. অভিযোগ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন আদালত
  4. আটক
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. আলোচনা সভা
  8. ইতিহাস
  9. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  10. কক্সবাজার
  11. কচুয়া
  12. কবিতা
  13. কিশোরগঞ্জ
  14. কুড়িগ্রাম
  15. কুমিল্লা
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নান্দাইল ভাইরাসে আক্রান্ত শতাধিক গরু ॥ খামারীরা শঙ্কায়- দৈনিক বাংলার অধিকার

প্রতিবেদক
majedur
মে ৪, ২০২০ ১:০৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় লাম্পি স্কিন ডিজিজ নামে একধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু-বাছুর। ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শতাধিক গরু-বাছুর আক্রান্ত হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে খামারীগণ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসার অভাবে ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’ নামে এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শত শত গরু। এরই মধ্যে মারা গেছে ২টি গরু। খামারীরা জানান, গরুর এই মহামারীতে প্রাণী সম্পদ বিভাগের কাউকে মাঠে দেখায় যায়নি। শুধু তাই নয় তাদের বার বার ফোন করা হলেও কোন ধরনের সাড়া পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের ৪২জন স্টাফ রয়েছে। করোনার পর থেকে প্রকল্পের গুটি কয়েকজন স্টাফ বাদে সবাই যেন ঘা ঢাকা দিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে নেই কোন ধরনের তদারকি। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের খলাপাড়া গ্রামের লিটনের ১টি, মাইনুলের ৩টি ও হলুদের ১টি ছাড়া আরও অনেকের গরু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় সমাজ সেবক প্রভাষক মাহবুবুর রহমান বাবুল জানান, “এলাকায় এই রোগ মহামারি আকার ধারণ করলেও কোনো কর্মকর্তা বা মাঠকর্মীদের মাঠে দেখা যায়নি। এ রোগের প্রতিষেধক ও সঠিক ওষুধ না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছে খামারীরা।” উপজেলার সদর ইউনিয়ন রসুলপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের একটি গরু এই রোগে মারা গেছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গরু-বাছুর এধরনের (লাম্পি স্কিন ডিজিজ) ভাইরাসে দিন দিন আক্রান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে ভেটেরিনারি সার্জন (ভিএস) উজ্জ্বল হোসেন জানান, “করোনার কারনে লকডাউন উপেক্ষা করেও জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই অফিসে উপস্থিতি সহ বা ফোন কলে কৃষক-খামারীগণকে সেবা দিচ্ছি, তন্মেধ্যে দুই-একজনতো ফোনে ব্যস্ত বা কোন কারনে মোবাইল বন্ধও পেতে পারে। আর এই ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক হিসাবে কেন্দ্রীয়ভাবে সরকারের পক্ষ থেকে যা দেওয়া হয়েছে তাই আক্রান্ত পশুর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এরজন্য সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন করোনা মত সচেতন থাকা। আক্রান্ত প্রাণীকে আলাদাভাবে রাখা।” প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মলয় কান্তি মোদক জানান, বিষয়টি করোনা ভাইরাসের মত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ সম্পর্কে সবাই সচেতন না হলে এটা আরো ব্যাপক হতে পারে। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Don`t copy text!