মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদন ও বিপনন ব্যবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদ্বয় কর্তৃক তথ্য রাষ্ট্রের আদেশ অব্যাহত রাখার আদেশ অমান্য করিয়া আমার জলকল মেশিনারীজ দোকানে অন্যায়ভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কর্তৃক জরিমানা করার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ২৪ এপ্রিল শুক্রবার সকাল ১১টায় মেসার্স জলকল মেশিনারীজ দোকানে স্বতাধিকারী মোঃ বজলুর রহমান তার নিজ কার্যালয়ে বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। এ সময় তিনি তার লেখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, আমি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা চৌরাস্থা কাঁচা বাজার সংলগ্ন মেইন রোডে কৃষি যন্ত্রপাতি, সেচ ও যন্ত্রাংশ বিক্রয়ের জন্য আমার মেসার্স জলকল মেশিনারীজ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ইরি, বোরো, ভুট্রা, মরিচ, ইত্যাদি চাষাবাদের মৌসুম চলছে। সারাদেশে করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কৃষি উৎপাদনে যন্ত্রপাতি ও বিপনন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আদেশে সেচ যন্ত্রসহ সকল কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা এবং ক্রয়-বিক্রয় অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকার নির্দেশ প্রদান করেছেন। এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের জেলা ও উপজেলা কার্য়লয়ের কর্মকর্তাগণ আমাদের ব্যবসায়িদের ৫ ফর্দের প্রজ্ঞাপনের চিঠি দিয়েছেন। যাহা কৃষি মন্ত্রণালয় প্রশাসন-২ অধিশাখার স্মারক নং-১২.০০.০০০০.০২০.৯৯.০৩৯.২০.৩৮১. তারিখ: ৩১ মার্চ-২০২০ ও কৃষি মন্ত্রণালয় প্রশাসন-৫ অধিশাখার স্মারক নং ১২.০০.০০০০.০২৪.৯৯.০১০.১৮.১৩ তারিখ: ০৬ এপ্রিল-২০২০ এবং কৃষি মন্ত্রণালয় প্রশাসন-৫ অধিশাখার স্মার নং-১২.০০.০০০০.০২৪.৯৯.০১০.১৮.১৩ তারিখ:০৯ এপ্রিল,২০২০। সেই আলোকে আমি স্বাস্থ্যবিধির সকল নিয়ম কানুন মানিয়া সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখিয়া সীমিত পরিসরে সেচযন্ত্র সহ সকল কৃষি যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য খোলা রাখি। ফলে গত ২২ এপ্রিল রোজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫ হাজার টাকা এবং গত ৭ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে ২ হাজার মোট ৭ হাজার টাকা আমার মেসার্স জলকল মেশিনারীজ কৃষি যন্ত্রপাতির দোকানে অন্যায় ভাবে জরিমানা করেন। ওই সময় ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনা কারি নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দেয়া ৭ ফর্দের প্রজ্ঞাপনের আদেশটি দেখানো সত্ত্বেও সংযুক্ত প্রজ্ঞাপন গুলি আমার হাত থেকে ছিনাইয়া লইয়া প্রকাশ্যে জনগনের সামনে ছিড়িয়া ফেলে দেন। উপরোক্ত ঘটনাটির কারণে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ এলাকার সাধারণ কৃষকরা কৃষি যন্ত্রাংশের উপকরণ না পাওয়ায় কৃষি কাজে মারাত্বক ব্যাঘাত ঘটছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, বাংলাদেশের আবাদি এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। এমন আহবান করেন, বাংলাদেশের প্রতিটি কৃষককে। সে কারণে সরকারের নির্বাহী ও মাননিয় প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বাঁচার জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন। এই প্রেক্ষিতে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যলয় থেকে আমাদের ব্যবসায়ীকদের সরকারের নির্দেশনাবলী ও প্রজ্ঞাপনের কপিও সরবরাহ করেছেন। সরকারের নির্দেশ থাকা সত্বেও চরম অসদাচরণ করে এবং কি কারণে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অন্যায় ভাবে আমার মেসার্স জলকল মেশিনারীজ কৃষি যন্ত্রপাতির দোকানে অর্থ জরিমানা করলেন। ওই ভ্র্যাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি।