সারাবিশ্বের আলোচিত সমালোচিত এক ব্যাধির নাম করোনা কোভিড ১৯। ডিসেম্বর ২০১৯ চীনের উহান শহরে এই ভাইরাসের উৎপত্তি । যা আজ সারা বিশ্বের প্রায় ২১০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে । করোনা ভাইরাস মানুষের শ্বাসনালির সংক্রমণ ঘটায় । সংক্রমনের লক্ষণ মৃদু হতে পারে, অনেক সময় যা সাধারণ সর্দি-কাশি মনে হলেও তীব্র জ্বর, গলাব্যথা, নিউমোনিয়াসহ প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের রূপ নিতে পারে। মানবদেহে সৃষ্ট করোনা সংক্রমণ এড়ানোর মত টিকা , এন্টিবায়োটিক ঔষধ অদ্যাবধি আবিষ্কৃত হয়নি । যদিও করোনা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় ঘরে থাকা এবং প্রাণঘাতী নতুন ভাইরাস করোনারোধে অন্যতম প্রতিরোধ সচেতনতাই একমাত্র রক্ষাকবচ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুসরণ এবং সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সুস্থ থাকা সম্ভব । সরকার, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও ইন্টারনেটে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আজ মানুষের হাতের মুঠোই এনে দিয়েছে ।অনলাইনের মাধ্যমে যে কেউ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারছে । করোনা প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান গণমাধ্যমে এত বেশি প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে যে , আজ ঘরের শিশুটিই তার মনের ভাব প্রকাশ করতে শিখেছে সেও জানে এবং অনায়াসে বলতে পারে আমাদের করণীয় কি ? কিন্তু যাদের সচেতন হওয়া দরকার তারাই আজ অসচেতন । সরকার এবং প্রশাসনের চেষ্টার কিন্তু কমতি নেই। চিকিৎসক , স্বাস্থ্যকর্মী ,পুলিশ প্রশাসন আজ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাদের চিরাচরিত স্বভাব পাল্টিয়ে করোনাকে জয় করার প্রত্যয়ে মানবিকতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে । সাথে এগিয়ে এসেছে সেনাবাহিনী ,নৌবাহিনী , ব্যাংকার, সাংবাদিকসহ সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠানও ।দীর্ঘ এক মাস হতে চললো দেশবাসী ছুটি ভোগ করছে। থেমে গেছে অর্থনীতির চাকা। এই কঠিন সময়ে দৈনিক খেটে খাওয়া মানুষগুলো আজ চরম কষ্টে দিন অতিবাহিত করছে। সময় এসেছে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। ক্ষুধার্ত মানুষের দরজায় সাহায্য পৌঁছে দেওয়া সরকারের একার পক্ষে যা কিছুতেই সম্ভব নয়। সমাজের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, সংগঠন ও বিত্তবানদের নিকট আমার অনুরোধ আসুন সকলে মিলে সামর্থ্য অনুসারে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই। নতুন করে সকলে মিলে একসাথে গায় ” মানুষ মানুষের জন্য”।
“ভয় নয় ,সকলের প্রচেষ্টায় সচেতনতাই হবেই হবে করোনার জয়”।
লেখক ঃ সভাপতি, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটি (বাগীশিক) কেন্দ্রীয় সংসদ।