“করোনা ভাইরাস” অজানা এক ভয়ানক ব্যাধি। সারাবিশ্বব্যাপী এর মৃত্যুর মিছিল যেন শত চেষ্টাতেও থামনো যাচ্ছেনা।বাংলাদেশেও সর্বত্র এর বিস্তার ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার এই ভাইরাস ঠেকানোর জন্য নানা কার্যকরি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছেন। বিশেষ করে পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনী যেভাবে জনগণকে সচেতনতা, ঘরে ফেরানো ও অবস্থান করতে কঠোর আচরণ এবং দোকানপাট-বাজার নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে রাতদিন মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন,তার তুলনায় জনগণের মধ্যে বিন্দুমাত্রও তার কোন নির্দেশ মান্য করার লেশমাত্র নেই। পাশাপাশি যারা এ যুদ্ধে সরাসরি রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে জীবন বাজি রেখে সর্বতোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ডাক্তার, নার্সসহ সকল স্বাস্থ্যকর্মী তার পরিপ্রেক্ষিতে জনগণের মধ্যে তিন ফুট দূরত্বের বালাই নাই বললেও চলে। প্রচার মাধ্যমে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও পত্র-পত্রিকা।বিশেষ করে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলের সরাসরি টকশোগুলোর বিভিন্ন আলোচনা সরকার তথা জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কার্যকর ভূমিকা পালনে সক্রিয় হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রধানমন্ত্রীর সাহসী পদক্ষেপকে খুবই সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা সকল আাধা-সরকারি, বেসরকারি, প্রাইভেট সকল প্রতিষ্ঠান যেন তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করেন, যাতে করে জনগণ ঘরে থেকে কোনরকমে জীবিকা নির্বাহ করে “করোনা ভাইরাস ” নির্মূল করতে পারে। ত্রাণের বিষয়ে দেশের সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণ করলে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে এবং অবশ্যই মানুষ দূরত্ব মেনে ত্রাণ গ্রহণ করবে ও মহামারি এই ভাইরাস ঠেকাতে আমরা সচেষ্ট হবো।পরিশেষে, আশাকরি অবশ্যই বাড়ির মালিকগণ, বিত্তশালী, শিল্পপতি ও দানশীল ব্যক্তিরা তাদের মনের বিশালতা প্রকাশ,আর্থিক সহায়তা এবং সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন। তবেই আমরা ফিরে পাব আমাদের স্বজনদের নিয়ে আগামী দেশের অগ্রযাত্রা। জয় হোক মানবতার, নির্মূল হোক “করোনা ভাইরাসের “।