গাজী মোহাম্মদ হানিফ, সোনাগাজী (ফেনী): সোনাগাজী উপজেলাধীন সমুদ্র উপকুলীয় চরচান্দিয়া ইউনিয়নের তরুণ চেয়ারম্যান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন মিলন। আওয়ামীলীগের দলীয় টিকিটে অত্র ইউনিয়নে তিনিই প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যান। যিনি বর্তমানে দলমত নির্বিশেষে চরছান্দিয়া ইউনিয়নের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের নিকট তুমুল জনপ্রিয়। আসুন, জেনে নিই তিনি কেন এত জনপ্রিয়? সরেজমিন চরছান্দিয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় ঘুরে জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মিলন চেয়ারম্যান একজন সদালাপী বন্ধুবৎসল ও ধার্মিক। তিনি ইউনিয়নের প্রতিটা মানুষকে সালাম বিনিময় করে সম্মানের সাথে হাসিমুখে কথা বলেন ও তাদের খোঁজখবর নেন। গ্রাম আদালতে পক্ষপাতহীন বিচার করার সুনাম রয়েছে তার। ইউপি সচিব জানান- তিনি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কোন প্রকার বেতনভাতা নেননা, বরং ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে চা’নাস্তার জন্য মাসিক ৫০০০ টাকা ব্যক্তিগত উপার্জন থেকে খরচ করেন। গত কয়েকদিন আগে ত্রাণ সহায়তা দিতে গিয়ে চাউল শর্ট পড়ায় তিনি তার বাড়ী থেকে ৩ বস্তা চাউল এনে জনসাধারণকে দেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে তিনি গ্রামে গ্রামে মাইকিং করে সচেতনতামূলক প্রচারনা চালান। জীবাণু নাশক স্প্রে ছিটান, মাস্ক সাবান ও লিফলেট বিতরণ করেন। নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করে ন্যায্য মূল্যে ক্রয়বিক্রয় ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করেন। প্রবাস ও ঢাকা চট্টগ্রাম ফেরত জনসাধারণকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা সকল পরিবারকে নিজে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী বাড়ীতে পৌঁছে দেন। রাতের অন্ধকারে ইউনিয়নের মধ্যবিত্ত ও নিম্ম মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষজনের বাড়ীবাড়ী খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। বিভিন্ন মাদ্রাসা মসজিদে কর্মরত ১০০ আলেমকে দেন ত্রাণ সহায়তা। সাবেক যুবলীগ নেতা মুজিব জানান, মিলন চেয়ারম্যান অত্যন্ত সততার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন, মতিগঞ্জ সাবরেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লিখার কাজ করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। যার বাড়ীতে এখনো টিনের ঘর, বৃষ্টিতে ঘরে পানি পড়ে। চেয়ারম্যান মিলন জানান- করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করায়, সৃষ্ট সংকটময় পরিস্থিতিতে তিনি- কর্মহীন হতদরিদ্র ও অনাহারী মানুষের জন্য তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ১০০০ মানুষকে দিয়েছেন ত্রাণ সহায়তা, ১৭৫০ জনকে দিয়েছেন সরকারি ত্রাণ সহায়তা, হোসাফ গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রাপ্ত ত্রাণ ৩৫০ জনকে দেন। এছাড়া অনেক দাতার অর্থায়নে তার উপস্থিতিতে ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়। মিলন চেয়ারম্যান জানান, আমি কিছু পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান হইনি, চরছান্দিয়ার জনগণকে কিছু দিতে চেয়ারম্যান হয়েছি। যতক্ষণ আমার প্রাণ আছে ততক্ষণ দলমত নির্বিশেষে চরছান্দিয়া বাসীর জন্য কাজ করে যাবো। সবাই ঘরে থাকুন, সরকার নির্দেশিত নিয়মকানুন মেনে চলুন। ত্রাণ সহায়তা প্রয়োজন হলে আমাকে জানাবেন, সরকারি বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত কিংবা আমার তরফ থেকে ত্রাণ সামগ্রী আপনার বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়া হবে।